ওমানে টানা ৩ দিনের ব্যাপক অভিযানে কয়েকশ’ প্রবাসীকে তাদের কর্মস্থল, দোকান, প্রবাসী জমায়েত এবং বাসাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাবেলা, হামরিয়া, ধোফার, দক্ষিণ এবং উত্তর আল বাতিনার প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় এসব অভিযানের খবরে রীতিমত ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন আতঙ্কিত অনেক প্রবাসী।
অনেক শ্রমিক গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে কাজে না গিয়ে বাসাতেই আটকে আছেন। গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসীদের কারোর ভিসা নেই, কেউ কেউ এক নিয়োগকর্তার কাজে এসে অন্য যায়গায় কাজ করেছেন আবার অনেকে প্রশাসনিক নিয়ম ভেঙে অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য চালাচ্ছিলেন। তবে আগের আইন অনুযায়ী যারা বৈধ তারা কোনরূপ হয়রানির শিকার হচ্ছেন না।
এদিকে অভিযানকে কেন্দ্র করে প্রবাসীদের মধ্যে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। ফলে অনেকেই বৈধ হওয়া সত্যেও নতুন আইন জারির গুজব শুনে অহেতুক বিভ্রান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কমিউনিটি নেতারা বলছেন, পূর্বের আইন মোতাবেক সকল নথিপত্র ঠিক থাকলে ভয়ের কিছু নেই।
কারণ চলমান অভিযান মোটেও নতুন কিছু নয়। পুরাতন আইন মানা না মানার বিষয়টিই তদারকি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সিকিউরিটি এন্ড সেফটি কর্পোরেশনের সহায়তায় আগের তুলনায় অভিযানের পরিধি বাড়িয়েছেন। তবে নতুন কোনো আইন তারা প্রয়োগ করছেন না। সিকিউরিটির সদস্যরা কেবল শ্রম বিভাগের কর্মকর্তাদের সাহায্য করছেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কাওকে গ্রেফতারের এখতিয়ার তাদের নেই।
বাসাবাড়িতে অভিযান চালানোর বিষয়ে বলা হয়েছে, মূলত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যেসব বাসাবাড়িতে মাদক কারবারি হয় বা অন্যান্য বেআইনি কার্যকলাপ চলে কেবল সেসব আবাসনেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে সকল বাসাবাড়িতে অভিযান চালানোর ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা নেই।
দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে জানা গেছে, চলমান অভিযান শীঘ্রই বন্ধ হবারও কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ শ্রম বাজারে শৃঙ্খলা টিকিয়ে রাখতে ওমান সরকারের এই প্রচেষ্টা আগের মতো সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post