ফ্রান্সে নতুন অভিবাসন নীতি কার্যকর হলে দেশটিতে অভিবাসনপ্রক্রিয়া আরও জটিল ও কঠিন হয়ে উঠবে। নতুন নীতি অনুযায়ী, পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসার জন্য আবেদনকারীদের ফ্রান্সে থাকার সময়সীমা ১৮ মাস থেকে বাড়িয়ে ২৪ মাস করা হয়েছে।
এছাড়া, ভিসার আবেদনকারীদের ফরাসি ভাষার ন্যূনতম বি১ স্তরের দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। গেল ৪০ বছরের ইতিহাসে ফ্রান্সে এমন কঠিন অভিবাসন নীতি হয়নি বলে জানিয়েছেন অনেকে।
ফ্রান্সের অভিবাসন আইন পরিবর্তন নিয়ে বছরখানেক আগে থেকেই দেশটিতে তুমুল আলোচনা আর বিতর্ক চলে আসছে। পার্লামেন্টেও আইনের খসড়া নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনে এরইমধ্যে বিলটি পাস হয়েছে।
অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলছেন, এই আইন কার্যকর হলে পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা প্রক্রিয়া যেমন কঠিন হবে তেমনি দেশ থেকে ফ্রান্সের কেউ আসতে গেলে আগে তাকে ফরাসি ভাষা রপ্ত করতে হবে।
সলিডারিটি আঁজি ফ্রান্স সভাপতি নয়ন এন কে বলেন, যারা বাংলাদেশ থেকে পরিবার আনতে চাচ্ছে, তাদের জন্য অনেকটা কঠিন হয়ে যাবে। আগে ১৮ মাস এখানে নিয়মতি থাকার পর আবেদন করতে পারত, এখন ২৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে আবেদন করার জন্য।
নতুন এই অভিবাসন নীতি কার্যকর হলে দেশটিতে বৈধতা পাওয়াসহ প্রশাসনিক নানা বিষয় আরও জটিল ও কঠিন হতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গেল ৪০ বছরে ফ্রান্সে এমন অভিবাসন নীতি হয়নি জানিয়ে বাংলাদেশি একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, চূড়ান্তভাবে এই আইন কার্যকরের আগে আরও কাটছাঁট হবে, তাই এখনই খুব বেশি ভয় পাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আইনজীবী আকাশ হেলাল বলেন, আইনটি কিন্তু এখনও পাস হয়নি। এই সপ্তাহে ফ্রান্সের সাংবিধানিক কোর্টে সাবিমট করা হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে কিছু অংশ বাতিল হয়ে যেতে পারে অথবা কিছু অংশ থেকে যেতে পারে।
নতুন অভিবাসন নীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এখন যেমন সভা-সেমিনার চলছে তেমনি শুরু হয়েছে তীব্র আন্দোলনও। সব প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন বছরের শুরুর দিকেই এই আইন কার্যকর করার কথা রয়েছে ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post