প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিদায়ী ২০২৩ সালে তেমন সুখবর আসেনি। ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, প্রবাসী আয় ২০২২ সালের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলার, যা ২০২২ সালে ছিল ২ হাজার ১৫০ কোটি ডলার। অথচ বিদায়ী বছরে ১২ লাখের বেশি জনশক্তি রপ্তানির রেকর্ড হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসীরা ঠিকই আয় পাঠাচ্ছেন। কিন্তু অর্থ পাচার অব্যাহত থাকায় তা বৈধ পথে আসছে না। অর্থ পাচারকারীরা সেই ডলার কিনে ফেলছেন। সেই সুবাদে পাচারকারীরা দেশে প্রবাসীর পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। নতুন অভিযোগ হচ্ছে, বাংলাদেশি মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ ও রেমিট্যান্স কোম্পানিগুলো অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে আয় আসছে না।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বছরভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে ২০২১ সালে। ওই বছরে প্রবাসীরা দেশে মোট ২ হাজার ২২১ কোটি ডলার পাঠান। কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে তখন বৈশ্বিক যাতায়াত বন্ধ ছিল। পাশাপাশি অর্থ পাচারকারীরাও কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে পরের বছরেই, অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রবাসী আয় কমে হয় ২ হাজার ১৫০ কোটি ডলার।
আর ডিসেম্বরে গত বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত আয় এসেছে ১৮৫ কোটি ডলার। ফলে ওই দিন পর্যন্ত ২০২৩ সালে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলার। এর আগে ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৫৭ কোটি, ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৬ কোটি ও ২০২০ সালে আসে ২ হাজার ১৭৫ কোটি ডলার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post