হজযাত্রীদের আবাসন সুবিধা উন্নত করতে সৌদি আরব নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে মক্কার মিনায় ১২টি নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ভবনগুলো আসন্ন হজের আগেই নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সৌদি আরবের জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা সাদ আল-কুরাশি। খবর গালফ নিউজের।
আল-কুরাশি বলেন, ‘আগামী বছর পবিত্র হজ শুরুর আগেই ভবনগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে। এসব ভবন পুরোপুরি হজযাত্রীদের জন্য পরিচালিত হবে।’
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীরা আসন্ন হজের নিবন্ধন শুরু করেছেন। হজের ক্ষেত্রে প্রাথমিক নিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ এর মাধ্যমে হজযাত্রীদের পছন্দের হোটেল ও ক্যাম্প বুকিং দেওয়া সহজ হয়। এরই মধ্যে হজযাত্রীদের আবাসন হিসেবে ১৬৬টি ভবনকে লাইসেন্স দিয়েছে মক্কার হজ হাউসিং কমিটি।
উল্লেখ্য, মক্কার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পাঁচ মাইল দূরে অবস্থিত একটি উপত্যকা মিনা। এখানে সব হাজি জিলহজ মাসের ৮, ১১, ১২ তারিখে অবস্থান করেন। বর্তমানে এখানে অসংখ্য তাঁবু নির্মাণ করা হয়েছে। সবগুলো তাঁবু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সারা বছর এগুলো খালি থাকে। মিনায় জামারার পাশে কয়েকটি পাকা ভবন রয়েছে, যেগুলোতে হজের সময় রাজকীয় অতিথিরা অবস্থান করেন।
শয়তানকে পাথর মারার জায়গাও এটি। এখানে তিনটি জামারাত রয়েছে, হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে এখানে হজযাত্রীরা তিন দিন নিয়ম করে পাথর নিক্ষেপ করেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছর ১৪ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেই হিসাবে ১ মার্চ (২০ শাওয়াল) হজের ভিসা ইস্যু শুরু হয়ে ২৯ এপ্রিল শেষ হবে। ৯ মে (১ জিলকদ) থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের গমন শুরু হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post