ধর্মীয় মিল এবং স্বজনদের আধিক্যের কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রথম পছন্দ মধ্যপ্রাচ্য। তবে এই অঞ্চলের প্রবাসীদের কাছে আতঙ্কের নাম কফিল বা নিয়োগকর্তার মামলা। কফিলের দেওয়া মামলা মিথ্যা হলেও তা প্রবাসীদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলে। এসব মিথ্যা মামলার কারণে প্রবাসীরা দেশে যেতে পারেন না এমনকি থাকতে হয় ভয়ের মধ্যে।
বেশ কয়েকটি কারণে কফিল প্রবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো কফিলের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করা বা বাইরে কাজ করা, এ ক্ষেত্রে কফিল অনেকটা বাধ্য হন মিথ্যা মামলা করতে। কারণ আমেল বা কর্মী যদি বাইরে কোথাও কাজ করা অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তাহলে কফিলকে জরিমানা গুনতে হয়। তাই আমেল পালিয়ে গেলে কফিল আকামা বা ওয়ার্ক পারমিট আটকে দেন।
কফিলের মিথ্যা মামলার শিকার হলে দেশে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের হাতে ধরা পড়লে দীর্ঘ মেয়াদি জেল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই প্রবাসীদের পালিয়ে থাকতে হয়। অনেকে জেলে না থেকেও জেলের মতো বন্দী জীবন পার করেন। আকামা শেষে আকামা নবায়ন করতে পারেন না।
এসব জটিলতা থেকে বাঁচতে যেসব পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন তার মধ্যে প্রথম উপায় হলো সতর্কতা। খেয়াল রাখতে হবে, যেন কোনো সাদা কাগজে বা অন্য কোনো কাগজে কেউ স্বাক্ষর বা টিপ সই না নিতে পারে। কোনো কিছুতে স্বাক্ষর দেওয়ার সময় অবশ্যই বিস্তারিত জানতে হবে। আর কফিল যদি বেতন আটকে রাখেন অথবা অতিরিক্ত সময় ধরে খাটান তাহলে পালিয়ে না গিয়ে মক্তব আমেলে অভিযোগ করে নিজের নির্দোষ থাকার ব্যাপারটি উল্লেখ করতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post