ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৪৪টি কার্গো বিমান ও ২০টি জাহাজে ইসরায়েলকে ১০ হাজার টনেরও বেশি যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ১২ এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে, অতিরিক্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরো ২.৮ বিলিয়ন মূল্যের যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলের পার্লামেন্টের (নেসেট) সদস্য টালি গোতলিভ গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বৈঠকে দাবি করেন, দক্ষিণ গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে গোলা হামলা ‘গত তিন সপ্তাহে নাটকীয়ভাবে কমেছে।’ তার এই মন্তব্যের পরই যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের এ খবর এলো।
চ্যানেল ১২ এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ যুদ্ধাস্ত্রের বিষয়টির সাথে জড়িত রয়েছে। অন্য কথায় বলতে গেলে এটি যুদ্ধাস্ত্র যাতে ফুরিয়ে না যায় সেজন্য গোলাবারুদ সংরক্ষণ করছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যেখানে গোলাবারুদের ঘাটতির কারণে বিমান হামলা বা স্থল অভিযান থেমে ছিল।
গত ৬ ডিসেম্বর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আইডিএফের জন্য সামরিক সরঞ্জাম বোঝাই ২০০ তম মার্কিন কার্গো বিমান ইসরায়েলে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছিল।
এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে ১০ হাজার টন সামরিক সরঞ্জামের বিষয়ে বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে যেসব যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সাঁজোয়া যান, অস্ত্র, ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম, গোলাবারুদ, চিকিৎসা সামগ্রী’ ইত্যাদি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post