সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে প্রায় ১৭ হাজার অভিবাসীকে আটক করেছে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযানে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনকারী ১৬ হাজার ৮৯৯ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়।
বিবৃতিতে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১১ হাজার ৩৩ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনে ৩ হাজার ৪৯৩ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করায় আরও দুই হাজার ৩৭৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবের চেষ্টাকারী আরও ৭৬৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৮ শতাংশ ইথিওপীয় এবং ৩ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে সৌদি আরব ত্যাগ করার সময় আরও ৮০ জনকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আবাসন ও কর্ম বিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ১১ ব্যক্তিকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে আটককৃত ৫২ হাজার ৩৬৯ জন অভিবাসী আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে কেবল নারীই রয়েছেন ৫ হাজার ৯৩৮ জন।
আটককৃত অভিবাসীদের মধ্যে ৪৬ হাজার ৭৪৩ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১ হাজার ৭১৬ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯ হাজার ১৪৭ জনকে ইতিমধ্যে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি প্রশাসন।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে। প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন।
সৌদি আরবের আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানের খবর সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post