সড়কে নজরদারি বাড়াতে মাস্কাটে বসানো হচ্ছে বিশেষ ডিভাইস। ইতোমধ্যে মাস্কাট হিল পয়েন্ট ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ যায়গাগুলিতে এই ডিভাইস দিয়ে সড়কের শৃঙ্খলা তদারকি করা হচ্ছে। বিশেষ ধরণের এই রাডার ডিভাইস গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন চালানো, সিট বেল্ট ব্যবহার না করা, ট্র্যাফিক সিগন্যাল না মানা এবং গাড়ির লেন পরিবর্তন করার ঘটনাগুলো খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারবে।
২০১৮ সাল থেকে সড়কপথের শৃঙ্খলা রক্ষায় ওমানে আইন বেশ কঠোর। ব্ল্যাক পয়েন্টের মাধ্যমে চালক ও মালিকদের উপরে জরিমানা ছাড়াও ধারাবাহিক কঠোর তদারকি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী কারোর নামের পাশে ১২টির বেশি ব্ল্যাক পয়েন্ট জমা পড়লে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়।
এছাড়া ওভার স্পিডিং থেকে অযথা হর্ণ বাজানো- প্রায় সবক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ করে থাকে দেশটি। তবুও প্রায় নিয়মিতই ওমানের সড়কে প্রাণহানির ঘটনা সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির সড়কে ছোট বড় মিলিয়ে অন্তত ৭৬ হাজার ২০০ টি দুর্ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছে। কেবল গত ২ মাসেই বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েক ডজন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। তাই এসব দুর্ঘটনা রোধে নতুন করে সড়কে নজরদারি বাড়াচ্ছে মাস্কাট।
প্রচলিত আইনে জরিমানার একাধিক বিধান আছে। এরমধ্যে চালক তার পরিচয় লুকিয়ে মুখ ঢেকে গাড়ি চালালে ৫০ রিয়াল, স্টিয়ারিং না ধরে গাড়ি চালালে ৩৫ রিয়াল, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ১৫ রিয়াল, ওভারটেকিংয়ের জন্য ৫০ রিয়াল এবং নিরাপত্তা বেল্ট ব্যবহার না করলে ১০ রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। এসব জেল জরিমানা এড়াতে এখন থেকে প্রবাসীদের রাস্তায় চলাচলে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটি সংশ্লিষ্টরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post