ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের। দেশটিতে স্পাউস ভিসায় প্রিয়জন নিয়ে আসতে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড নীতি থেকে আসলো সরকার।
গত ৭ ডিসেম্বর প্রস্তাবিত কঠোর ইমিগ্রেশন নীতিমালার অংশ ছিল এটি, কিন্তু প্রবল সমালোচনার পর নতুন করে আবার বাৎসরিক আয় ২৯ হাজার পাউন্ড করা হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পারিবারিক বা স্পাউস ভিসায় কাউকে যুক্তরাজ্যে আনতে গেলে বাৎসরিক আয় ২৯ হাজার পাউন্ড বাধ্যতামূলক দেখাতে এই প্রস্তাবটি কার্যকর হবে। ২১ ডিসেম্বর এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
স্পাউস নিয়ে আসতে মূল আবেদনকারীকে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড বাৎসরিক আয় দেখতে হবে এই ঘোষণার পর অনেকেই ভেঙে পড়েছিলেন। রক্ষণশীল সরকারের এমন পরিকল্পনার চরম সমালোচনা করেছেন সাধারণ নাগরিক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ব্রিটেনের লিবারেল ডেমোক্রেট দল এই নীতিকে ‘অকার্যকর’ নীতি বলেও মন্তব্য করেছে।
লেবার সাংসদ স্যার স্টিফেন টিমস প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে বলেছিলেন, প্রস্তাবিত নতুন থ্রেশহোল্ড হাজার হাজার দম্পতির বিয়ের পরিকল্পনাকে বাধা দেবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড শার্প একটি লিখিত সংসদীয় প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান ১৮ হাজার ৬০০ পাউন্ডের থ্রেশহোল্ড যুক্তরাজ্যের কর্মরত জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ বিদেশি পরিবারের সদস্যদের এদেশে বসবাসের জন্য আনতে অনুমতি রয়েছে। তবে বৃদ্ধি করা ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড-নীতি এই অধিকারকে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনবে। এ কারণে ২০২৪ সালে আমরা প্রান্তিক আয়ের বাধ্যতামূলক সীমা ২৯ হাজার পাউন্ডে উন্নীত করবো। তবে প্রস্তাবিত ২৯ হাজার পাউন্ড নীতি ২০২৪ সালের কোন মাসে কখন থেকে কার্যকর হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post