মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মিনি ঢাকা খ্যাত কোতরায়ায় বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশীসহ অন্তত ৫০০ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির যৌথ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ইমিগ্রেশন পুলিশ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে অভিযান শুরু হয়ে চলে দুপুর পর্যন্ত। এ অভিযানে অংশ গ্রহণ করেন দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১ হাজার সদস্য। এ সময় অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মিনি ঢাকা খ্যাত রাজধানী কুয়ালালামপুরের কোতরায়া জালান সিলাংয়ের বাংলাদেশীদের প্রায় শতাধিক দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে চিরুনি অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০০ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন বাংলাদেশী নাগরিক। আরো রয়েছেন মায়ানমার ও নেপালের নাগরিক। ইমিগ্রেশন পুলিশের প্রাথমিক অভিযোগ- এই বাংলাদেশী মার্কেটে বৈধ কাগজপত্র ও বৈধ লাইসেন্স ব্যতিত ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে।
ওই এলাকার চারটি ব্লকের চারদিকে ঘিরে ফেলে প্রত্যেকটি দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চেক করে তাদের আটক করা হয়। অভিযানের সময় প্রত্যেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পুলিশের ভেস্ট ও আধুনিক অস্ত্র এবং বিশেষ সরঞ্জাম পরিহিত অবস্থায় ছিলেন।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পাবলিক অর্ডার বুকিত আমানের অধীনস্থ জেনারেল অপারেশন টিমের (পিজিএ) এক হাজারেরও বেশি সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তা এখানে জালান সিলাংয়ে ‘মিনি ঢাকা’ নামে পরিচিত বিদেশীদের বসতিতে অভিযান পরিচালনা করেছে।
অভিযান শেষে পুলিশের দাবি, এখানে দেখা গেছে যে বিদেশীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করছেন। তাছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী ওষুধের পাশাপাশি প্রাইভেট ক্লিনিক পরিষেবাও সরবরাহ করছে, যার কোনো অনুমোদন নেই।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সাঁড়াশি অভিযানে আটক অভিবাসীদের বৈধ ভিসা এবং ব্যবসা করার কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কুয়ালালামপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে (পুলাপোল) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post