ডাকাতি করতে গিয়ে পারুল আক্তার (৫৫) নামে এক গৃহবধূকে খুন করা হয়। ঘটনাটি ঘটে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহীগুনীতে। এ ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) আদালতে জবানবন্দি দেন গ্রেফতার মোবারক হোসেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে উত্তর বারাহীগুনী শামসুল হক ভূঞার বাড়িতে নিজ ঘর থেকে পারুল আক্তার নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত পারুল আক্তার ওই বাড়ির প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী ও জায়লস্কর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন চৌধুরীর ছোট বোন।
এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার কোনো কারণ অথবা ঘটনায় সম্পৃক্ত কাউকে অভিযুক্ত করতে পারেননি ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্বজনরা। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী সদর উপজেলার মাথিয়ারা জেলে বাড়ি থেকে মোবারক হোসেন নামের এক যুবককে এ ঘটনায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে ওই যুবক ঘটনার বিস্তারিত জানালে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে। পরে তিনি ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করে আরও দুজনের নাম জানান।
মোবারক হোসেন জানান, ওই রাতে তারা তিনজন পারুলের ঘরে ডাকাতি করতে প্রবেশ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে পারুল তার মোবাইলে ভিডিও করতে থাকেন। বিষয়টি দেখে মোবারক সহ তার সঙ্গীরা ওই নারীর হাত থেকে মোবাইলটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে মোবাইলটি নিতে ব্যর্থ হয়ে পারুলের মাথায় আঘাত করেন তারা। এতে পারুলের মৃত্যু হলে তারা পালিয়ে যান। মোবারকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাকি দুজনকে ও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন লক্ষ্মীপুরের টুমচর এলাকার মঈন উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন, ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা আফজল মিস্ত্রি বাড়ির সেলিম এর ছেলে শিহাব হোসেন শুভ (২০) ও ঘটনাস্থল সংলগ্ন উত্তর বারাহীগুনী এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল আউয়াল প্রকাশ সাদ্দাম (৩৬)। দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post