যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) হামাস ও ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সঙ্গে যুক্ত অন্যতম নেতা এবং অর্থদাতাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রেজারি বিভাগের অফিশিয়াল বিবৃতি অনুসারে, সমন্বিত ‘নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য সম্পদ জব্দ করা এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে হামাসকে বিচ্ছিন্ন করা।’
নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়া সাত ব্যক্তির মধ্যে হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা মাহমুদ জাহার এবং হামাসের বহিরাগত সম্পর্কের প্রধান আলি বারাকা রয়েছেন, যিনি ৭ অক্টোবরের হামলাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন এবং জিম্মিদের ন্যায্যতা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি হামলার সঙ্গে জড়িত আরেকটি গ্রুপ ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের একজন নেতার ওপরও এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ‘গাজায় হামাসের কোনো ভবিষ্যৎ থাকতে পারে না। হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের ওপর আজকের নিষেধাজ্ঞা তাদের অর্থায়নের পথত বন্ধ করে দেবে এবং তাদের আরো বিচ্ছিন্ন করবে।’
ব্রিটিশ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছনোর জন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব, যাতে ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিরা শান্তিতে বসবাস করতে পারে।’
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইল নির্বিচারে আকাশ ও স্থল থেকে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে। ইসরাইলের ভয়াবহ হামলায় গাজাবাসী একদিকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অন্যদিকে ভারি বৃষ্টিপাত এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা জেঁকে বসেছে উপত্যকাটিতে। এতে অসহনীয় দুর্ভোগে জীবন পার করছেন এ উপত্যকার বাসিন্দারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী-শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনের গাজায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৫৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ১০টি দেশ। আর ২৩টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post