বাস্তবে এমন ‘লিলিপুটদের রাজ্যে’ যেতে পারলে নিশ্চয়ই মন্দ হতো না। শুনে অবাক হবেন, এমন একটি জায়গা আসলেই আছে। সেখানে উচ্চতায় খাটো ব্যক্তি বা বামনেরা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ান ও বসবাস করেন। নানা কসরত দেখিয়ে সবাইকে আনন্দ দেন তাঁরা।জায়গাটি দেখতে হলে যেতে হবে চীনে।
দেশটির ইউনান প্রদেশের কুনমিং শহরের পূর্বাঞ্চলে এ জায়গার নাম ‘কিংডম অব লিটল পিপল’। অনেকে জায়গাটিকে ‘বামন সাম্রাজ্য’ নামেও ডাকেন।এটা আসলে একটি থিম পার্ক বা বিনোদনকেন্দ্র। ইউনান প্রদেশে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি গন্তব্য এই বামন সাম্রাজ্য। ২০০৯ সালে পার্কটির যাত্রা শুরু হয়।
কী নেই এখানে। ১৫০ জন বামনের বসবাসের জায়গা, মাশরুমের আদলে ছাদ, দুর্গ, লর্ড অব দি রিংস–এর দ্য শায়ারের প্রতিলিপি দেখে মজা পান দর্শনার্থীরা। প্রতিদিন এখানকার ১৫০ বামন দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান করেন। নেচে-গেয়ে, বিভিন্ন খেলা-কসরত, মধ্যযুগীয় যুদ্ধের দৃশ্য দেখিয়ে বিনোদন দেন।
এখানে পুরোনো একটি উড়োজাহাজের ভেতরে চালু করা হয়েছে রেস্তোরাঁ। মজার মজার সব খাবার পাওয়া যায় সেই রেস্তোরাঁয়। পার্কটিতে প্রবেশ করতে দর্শনার্থীদের গুনতে হয় ১১ পাউন্ড। তাঁরা এখানে ‘লিলিপুটদের রাজ্যের’ নানা কার্যক্রম নিজের চোখে দেখে আনন্দিত হন। শুধু ব্যবসা করার জন্য এই পার্ক বানাননি চেন মিংঝিং। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, এখানে বামনদের আশ্রয় দেবেন। সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন বামনেরা এখানে থাকতে পারবেন। জুটবে চাকরিও। উচ্চতায় খাটো বা বামনদের জন্য জায়গাটি হবে একটি ‘স্বর্গ’।
নানা সমালোচনা থাকলেও পার্কটিতে থাকতে পেরে, কাজ করতে পেরে, মানুষকে বিনোদন দিতে পেরে বেশ আনন্দিত সেখানকার বামনেরা। তাঁরা শুধু মাস গেলে বেতনই পান না, বরং অনেকেই ভালো বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পেয়েছেন সেখানে গিয়ে। তাই তাঁরা পার্কটিতে থাকতে পেরে খুশি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post