গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের ব্যবহৃত টানেলে সমুদ্রের পানি ঢুকানো শুরু করেছে ইসরাইল। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ইসরাইল বিশ্বাস করে যে, গাজায় হামাস তাদের এই টানেলের মধ্যে বন্দি, সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে। তাই হামাসকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনী সুড়ঙ্গের ভেতর সমুদ্রের পানি পাম্প করা শুরু করেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।
সুড়ঙ্গব্যবস্থাটি ৩০০ মাইল পর্যন্ত প্রসারিত এবং সুড়ঙ্গে পানি পাম্প করার প্রচেষ্টাটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ সময় নেবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, গত মাসে প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। এ মাসে পাঁচটি পাম্পের পরিপূরক করার জন্য ইসরাইল দুটি অতিরিক্ত পাম্প স্থাপন শুরু করেছে। এ খবর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে এর সমালোচনা করেছেন। বাইডেন প্রসাশনের অনেক কর্মকর্তা বলেছেন এটি পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং গাজার মিঠাপানির সংকট আরও তীব্র করে তুলবে।
এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ) সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছে, যদি গাজায় পাম্পের মাধ্যমে সুড়ঙ্গগুলো সমুদ্রের পানি দিয়ে ভরা হয়, তা হলে সেটির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো গাজার ওপর।
তারা জানায়, সুড়ঙ্গে পানি দিলে এগুলোর আশপাশে যেসব ভবন আছে সেগুলো ধসে পড়বে। যার মধ্যে আবাসিক ভবনও রয়েছে। এতে অনেক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবে।
এ ছাড়া এর মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি ও ময়লা পানির সঙ্গে সমুদ্রের পানির মিশ্রণ হয়ে যাবে। এতে স্বাস্থ্য খাতে বিপর্যয় দেখা দেবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছিল ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। ইসরাইল বিশ্বাস করে ভূগর্ভস্থ ব্যবস্থা যুদ্ধক্ষেত্রে হামাসের কার্যক্রমের মূল চাবিকাঠি। তাই তারা হামাসকে প্রতিহত করতে এই টানেলকেই বেছে নিয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post