১৯৬৯ সালের ২৯ আগস্ট, ইতালির রোম বিমানবন্দরের একটি চেয়ারে বসেছিলেন এক সুন্দরী তরুণী। তিনি সাদা স্যুট, সানগ্লাস আর সানহ্যাট পড়েছিলেন। তিনি ছিলেন ২৫ বছর বয়সী, তার নাম লায়লা খালেদ। তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনের একজন বিপ্লবী।
তরুণী এমন ভান করেছিলেন যে ওয়েটিং লাউঞ্জে (যেখানে যাত্রীরা বিমানের জন্য অপেক্ষা করেন) বসে থাকা আরেক ব্যক্তি সেলিম ইসাভিকে তিনি চেনেন না। সেলিম ছিলেন ফিলিস্তিনের মুক্তিবাহিনী ‘পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন’(পিএফএলপি)-এর চে গেভারা কমান্ডো ইউনিটের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আর যে তরুণীর কথা বলা হচ্ছে তার নাম লায়লা খালেদ।
লায়লা একাই বিমানে চড়ে বৈরুত থেকে রোমে এসেছিলেন। তিনি এবং তার সঙ্গী সেলিম ইচ্ছাকৃতভাবে প্রথম শ্রেণির আসন বুক করেছিলেন যাতে সহজেই বিমানের ককপিটে প্রবেশ করতে পারেন।
বিমানের ভেতরে লায়লা ও সেলিমের আসন কাছাকাছি ছিল। বিমানবালা লায়লাকে কফি এবং সেলিমকে বিয়ার পরিবেশন করেন। এরপর বিমানবালা লায়লাকে কিছু খাওয়ার জন্য অনেক পীড়াপীড়ি করলেও তিনি কিছু খাননি। বরং তিনি বিমানবালাকে বলেন তার খুব ঠাণ্ডা লাগছে এবং পেটে ব্যথা করছে। তাই তাকে যেন একটি অতিরিক্ত কম্বল দিয়ে যায়।
কম্বল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লায়লা তার হ্যান্ড গ্রেনেড এবং পিস্তল কম্বলের নিচে রেখে দেন যাতে প্রয়োজনে সেগুলো সহজে হাতের কাছে পাওয়া যায়।পরে এক সাক্ষাৎকারে লায়লা বলেন, বিমানবালারা খাবার পরিবেশন করা শুরু করতেই সেলিম লাফিয়ে উঠে ককপিটে পৌঁছে যান। আমিও আমার কোলে থাকা হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে তার পিছনে দৌড়ে যাই।
এগুলো দেখে বিমানবালার হাত থেকে ট্রে পড়ে যায় এবং তিনি জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় আমার কোমরে আটকে থাকা পিস্তলটা আমার প্যান্টের ভিতর দিয়ে গলে বিমানের মেঝেতে পড়ে যায়। এরপর আমি এবং সেলিম চিৎকার করে বলি, প্রথম শ্রেণির সব যাত্রী এবং ক্রুদের বিমানের পেছনে ইকোনমি ক্লাসে যেতে হবে।
এই ছিনতাইয়ে লায়লাকে পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুরুতে লায়লা পাইলটকে ওই বিমানটি ইসরায়েলের লোদ বিমানবন্দরে নিয়ে যেতে বলেন। এটি তখন ডেভিড বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর নামে পরিচিত। বিমানটি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই এর দুই পাশে তিনটি ইসরায়েলি মিরাজ বিমান উড়তে শুরু করে। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তারা ভেবেছিল ইসরায়েলি বিমান তাদের বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করবে। লায়লা লোদের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বলেন, ‘এখন আপনারা আমাদের ফ্লাইট টিডব্লিউএ-৮৪০ বলার পরিবর্তে, ফ্লাইট পিএফএলপি ফ্রি আরব প্যালেস্টাইন বলে সম্বোধন করবেন।’
বিমানের পাইলট প্রথমে লায়লার নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেছিলেন কিন্তু লায়লা যখন তাকে তার হ্যান্ড গ্রেনেড দেখান, তখন ওই পাইলট প্রতিবাদ করা বন্ধ করে তার নির্দেশ মানতে শুরু করেন। তবে লোদ বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র ইসরায়েলিদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য।
বিমানটি লোদের উপর দিয়ে উড়ে যায়। সে সময় নিচে শত শত ইসরায়েলি সৈন্য ও ট্যাঙ্ক তাদের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিল। এরপর লায়লা পাইলটকে বিমানটি দামেস্কে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পথে তিনি পাইলটকে তার জন্মস্থান হাইফার উপর দিয়ে উড়ে যেতে বলেন।
লায়লা পরে তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, যখন আমি উপর থেকে ফিলিস্তিনের দিকে তাকালাম, এক মিনিটের জন্য আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে আমি একটি অভিযানে আছি। আমার ইচ্ছা হচ্ছিল দাদী, ফুফু সবাইকে ডেকে বলতে যে আমরা ফিরে আসছি। পরে পাইলটও বলেছিলেন যে, আমরা যখন হাইফার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলাম, তখন তিনি দেখেছেন আমার মুখ লাল হয়ে গেছে। মুখে সব লোম দাঁড়িয়ে গেছে।
দামেস্ক বিমানবন্দরে অবতরণের পর সেলিম বিমানের ককপিটে বিস্ফোরক দ্রব্য পুঁতে রেখে তা উড়িয়ে দেন। তার মতে, এটিই ছিল ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। লায়লাকে প্রায়ই প্রথম নারী হাইজ্যাকার হিসাবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তবে খুব কম মানুষই জানেন, এর তিন বছর আগে ১৯৬৬ সালের সেপ্টেম্বরে কনডর সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি বিমান হাইজ্যাক করে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে যাওয়া হাইজ্যাকারও একজন নারী ছিলেন।
আইলিন ম্যাকডোনাল্ড তার শুট দ্য উইমেন ফার্স্ট বইতে লিখেছেন, পিএফএলপি তাদের নেতৃত্বে এই হাইজ্যাকিং থেকে যে প্রচার পেয়েছিল তাতে তারা খুব খুশি হয়েছিল। সংগঠনটি তাদের তারকা কমরেড লায়লাকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় সফরে পাঠায়। তারা জানত যে লায়লাকে অপহরণ ও হত্যা করার জন্য ইসরায়েলিরা যে কোনো কিছু করতে পারে। কিন্তু তারপরও তাকে আরব দেশ সফরে পাঠানো হয়েছিল। তবে তার চারপাশে দেহরক্ষীদের মোতায়েন করা হয়েছিল। ওই হাইজ্যাকের ঘটনায় আরব বিশ্বের নায়িকা হয়ে উঠেছিলেন লায়লা খালেদ।
এরপর লায়লা তার নাক, গাল, চোখ ও মুখের ছয়টি স্থানে প্লাস্টিক সার্জারি করেন। যাতে তার চেহারা পরিবর্তন করা যায় এবং তাকে আরেকটি ছিনতাইয়ের জন্য প্রস্তুত করা যায়। ১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বরে, লায়লা লেবানন থেকে ইউরোপে চলে যান। ৪ সেপ্টেম্বর, জার্মানির স্টাটগার্টে তিনি প্যাট্রিক আর্গুয়েলোর সঙ্গে দেখা করেন যিনি পরবর্তী হাইজ্যাকিংয়ে তাকে সাহায্য করছিলেন। তাদের দুজনের আগে কখনো একসঙ্গে দেখা হয়নি। ৬ সেপ্টেম্বর দুজনেই নিউইয়র্কের টিকিট নিয়ে একসঙ্গে স্টাটগার্ট থেকে আমস্টারডাম যান।
প্যাট্রিক আমেরিকায় জন্ম নেওয়া নিকারাগুয়ার নাগরিক ছিলেন। তারা দুজনেই নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭০৭ বিমানের ফ্লাইট ইএলএআই ২১৯-এ চড়ে বসেন।
সারা আরভিং তার বই ‘লায়লা খালেদ: আইকন অফ প্যালেস্টিনিয়ান লিবারেশন’-এ লিখেছেন, তারা দুজন যখন বিমানে উঠেন, তখন তারা জানতেন না যে তাদের দুই সহকর্মী যাদের এই ছিনতাইয়ে সাহায্য করার কথা ছিল তাদের বিমানে সিট দিতে অস্বীকার করেছিলেন ইসরায়েলি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা।
এবার লায়লা ও তার সঙ্গী ইকোনমি ক্লাসে বসেছিলেন। লায়লা বলেন, প্যাট্রিক জানতেন তাকে কী করতে হবে এবং আমি জানতাম আমাকে কী করতে হবে। আমাদের সাথে অস্ত্র ছিল। আমার কাছে দুটি হ্যান্ড গ্রেনেড এবং প্যাট্রিকের কাছেও একটি হ্যান্ড গ্রেনেড ছিল। আমি খুব ছোট স্কার্ট পরেছিলাম। আমি সেই স্কার্টের ভিতরে বিমানের নকশা লুকিয়ে রেখেছিলাম।
ডেভিড রাব তার বই ‘টেরর ইন ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’-এ লিখেছেন, লায়লা তার বিশেষভাবে তৈরি ব্রা থেকে দুটি হ্যান্ড গ্রেনেড বের করেন, কিন্তু তখনই বিমানে থাকা মার্শালরা গুলি চালাতে শুরু করে। এ সময় প্যাট্রিক পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন। এতে শ্লোমো ওয়েডার নামে এক মার্শালের পায়ে গুলি লাগে। অন্যদিকে প্যাট্রিকও গুলিবিদ্ধ হন।
এ সময় লায়লার ওপর দুই প্রহরী ও যাত্রীরা হামলা চালায়। লোকজন তাকে মারধর করতে থাকলে তার পাঁজরের কয়েকটি হাড় ভেঙ্গে যায়। এর মধ্যেই বিমানটির চৌকস পাইলট বিমানটিকে হঠাৎ নিচের দিকে ওড়াতে শুরু করেন। আকস্মিক ওই ডাইভ দেওয়ার ফলে লায়লা ভারসাম্যহীন হয়ে বিমানের মেঝেতে পড়ে যান।
লায়লা বলেন, আধাঘণ্টা পর আমরা উঠে দাঁড়াই। আমি দাঁত দিয়ে হ্যান্ড গ্রেনেডের পিনটা সরানোর চেষ্টা করছিলাম। আমরা উঠে চিৎকার করতেই নিরাপত্তাকর্মীরা পেছন থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। দেখলাম ককপিটের ম্যাজিক আই থেকে কেউ আমাদের দেখছে। আমি তাদের হুঁশিয়ার করে বলি যে আমি তিন পর্যন্ত গুনবো। ততক্ষণে ককপিটের দরজা না খুললে বিমান উড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আমি আসলে বিমানটি ধ্বংস করতে চাইনি।
এই সতর্কতা দেয়ার পরও তারা ককপিটের দরজা খোলেনি। কিছুক্ষণ পর কেউ একজন আমার মাথার পেছনে আঘাত করলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। লায়লা তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, আমি এক মার্শালকে রক্তাক্ত প্যাট্রিকের কোমরের ওপর দাঁড়িয়ে তার পিঠে চারটি গুলি করতে দেখেছি। আহত মার্শাল শ্লোমো ওয়েডারের শারীরিক অবনতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে ইএলএআই-এর পাইলট লন্ডনে জরুরি অবতরণ করে, যেন তাকে প্যাট্রিককে হত্যার জন্য দায়ী করা না যায়।
এদিকে বিমানের ভেতরে লায়লাকে যাত্রীদের সিট বেল্ট দিয়ে জোর করে বেঁধে মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। লায়লা ভাগ্যবান ছিলেন যে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী তাকে বন্দি করেনি। তাকে গ্রেপ্তার করে ব্রিটিশ পুলিশ। লায়লা তার আত্মজীবনী ‘মাই পিপল শ্যাল লিভ’-এ লিখেছেন, আমি নিরাপত্তা কর্মীদের অনুরোধ করেছিলাম তারা যেন আমার হাতের বাঁধন খুলে দেয়। আমি প্যাট্রিকের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে তার হাত ধরি। আমি তার আঘাত পরীক্ষা করে বন্ধুত্বের মন থেকে ঠোঁটে চুমু খাই। তারপর ঝর ঝর করে কেঁদে ফেলি।
তিনি বলেন, এটা আমার জন্য খুবই কষ্টকর ছিল কারণ আমার মনে হয়েছে যে তার জায়গায় আমার মরা উচিত ছিল, কারণ এটি ছিল আমাদের লড়াই। প্যাট্রিক শুধু আমাদের সাহায্য করতে এসেছিল।
লায়লাকে লন্ডনের ইলিং থানায় নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তাকে পরের কয়েকদিন চিফ সুপারিন্টেনডেন্ট ডেভিড প্রিউ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জেলে লায়লার সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়েছিল। কয়েকজন নারী পুলিশ তার সঙ্গে টেবিল টেনিসও খেলেন। লায়লা লেখাপড়ার জন্য কিছু উপকরণ চাইছিলেন। যখন তাকে নারীদের কিছু পত্রিকা পড়ার জন্য দেওয়া হয়, তখন তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে সেগুলো নিতে অস্বীকৃতি জানান।
তারপর তাকে সংবাদপত্র সরবরাহ করা হয়। লায়লাকে গোসল করার জন্য স্টেশন প্রধানের বাথরুম ব্যবহার করতে দেওয়া হত। তাদের জন্য পরিষ্কার কাপড় ও তোয়ালের ব্যবস্থা ছিল। তার ঘরে একজন নারী রক্ষী নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হলে লায়লা রেগে গিয়ে জবাব দেন, আমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি না। আমাকে আরও অনেক অভিযানে অংশ নিতে হবে।
লায়লাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ডেভিড প্রিউ তাকে জানান যে ইএলএআই বিমান ছাড়াও, সুইস এয়ার, টিডব্লিউএ, পানাম এবং ব্রিটিশ এয়ারের বিমানগুলোও হাইজ্যাক করা হয়েছিল। এ কথা শুনেই লায়লা বলেন, ব্রিটিশ এয়ারের বিমান ছিনতাইয়ের কোনো পরিকল্পনা তাদের ছিল না। প্রিউ তাকে জানান, ৯ সেপ্টেম্বর বাহরাইন থেকে লন্ডনগামী ব্রিটিশ এয়ারের একটি বিমান হাইজ্যাক করে জর্ডানের ডসন ফিল্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। লায়লা তাকে জিজ্ঞেস করেন যে হাইজ্যাকাররা কী দাবি করেছে। তখন প্রিউ তাকে উত্তর দেন যে তারা লায়লার মুক্তি চায়।
২৮ সেপ্টেম্বর পুলিশ প্রহরীরা লায়লাকে কাঁদতে দেখেন। ওই দিন পত্রপত্রিকায় মিশরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদুল নাসেরের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। টানা ২৪ দিন ব্রিটিশ কারাগারে থাকার পর ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর লায়লাকে বহনকারী রয়্যাল এয়ার ফোর্সের একটি বিমান কায়রোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর ডসন ফিল্ডে হাইজ্যাক করা সব বিমান বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার বহু বছর পর লায়লাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি যা করেছেন তার জন্য আপনি কি অনুতপ্ত? লায়লার উত্তর ছিল ‘মোটেই না।’
আম্মানের একটি শান্তিপূর্ণ পাড়ায়, ৭৭ বছর বয়সী লায়লা তার স্বামী ফায়াজ এবং সন্তান বদর ও বাশারের সাথে একসাথে বসবাস করছেন। তিনি এখন একজন সাধারণ বৃদ্ধা মহিলা, যিনি তার পরিবারের সাথে সময় কাটান এবং তার বাগানে কাজ করেন। কিন্তু একসময় তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনি সংগ্রামের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্বদের একজন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post