অর্থনৈতিক লাভের জন্য মানুষকে অসুস্থ করে তোলার অপরাধ ব্যবসায়ীদের কাছে একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন জিনিসপত্র মিশিয়ে খাবারকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টায় তারা মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন। সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভারতে মাছে রং মেশানোর অভিযোগ উঠেছে।
নিউজ ১৮- এর খবরে জানানো হয়, স্বাভাবিক রঙের জায়গায় মাছকে লাল-হলুদ বিভিন্ন রঙে রঙিন করা হচ্ছে। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন- মাছ একটু রঙিন না হলে ক্রেতারা না কি নিতে চায় না। মাছের রঙ যদি একটু ফ্যাকাসে হয়, তাহলে মানুষ মাছ পছন্দ করে না।
বাজারে প্রচুর নদীর মাছ রয়েছে, যেগুলো রেড-অক্সাইড জাতীয় রং দিয়ে রঙিন করা থাকে। রেড-ক্সাইড একটি কৃত্রিম রং। মাছ ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, মাছ পানিতে ধুয়ে ফেলার পর এই রং চলে যায়। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে কোনো ক্ষতি হয় না।
কিন্তু মৎস্য বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে খাদ্য গবেষকরা দাবি করছেন, মাছ যতই ধোয়া হোক। রেড-অক্সাইডের মতো রং মাছের এমন কিছু অংশে প্রবেশ করে। যার ফলে পানি দিয়ে ধুলেও সেগুলো বেরিয়ে আসে না।
খাদ্য গবেষক ড. প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন,
“মাছ খাওয়ার সময় রেড-অক্সাইড মানুষের দেহে প্রবেশ করে। যা ভয়ঙ্করভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।”
তিনি আরও বলেন, “খাবারে মেশানো বেশিরভাগ রং পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থ থেকে তৈরি। এই রংগুলো খুবই সূক্ষ্ম এবং মাছের ভেতর দ্রুত প্রবেশ করে। পানি দিয়ে পরিষ্কার করলেও সেগুলো পুরোপুরি বেরিয়ে আসে না। ফলে মানুষের শরীরে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে। স্নায়ুতন্ত্র, লিভার ও কিডনির ক্ষতিও হতে পারে।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post