দ্রুত একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। বিশেষ করে, যেসব এলাকায় সড়ক যোগাযোগ ভালো নয়, সেসব এলাকায় হেলিকপ্টারের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আমাদের দেশেও এখন বেসরকারিভাবে ভাড়া নেওয়া যায়। প্রবাসীদের জন্য সব থেকে কম ভাড়ায় হেলিকপ্টার সেবা দিয়ে আসছে প্রবাসী হেলিকাপ্টার নামে এই কোম্পানিটি।
হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জন্য এয়ারপোর্টের প্রয়োজন হয় না বলেই দিনদিন বাড়ছে এর ব্যবহার। যে কোনো জায়গায় বড় স্পেসে ল্যান্ড করা যায় এই যান। তবে সাধারণত হেলিকপ্টার যে স্থানে নামবে সেখানে মাটিতে ‘H’ লেখা থাকে। এ নিয়ে প্রশ্ন জাগতে পারে অনেকের মনে। কেন বা কোথা থেকে হলো হেলিপ্যাডে এইচের ব্যবহার।
‘H’ লেখার সঙ্গে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার টেকনিক্যাল কোনো সংযোগ নেই। ‘H’ এখানে মূলত চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ চালককে নির্দেশ দেওয়া হয় এইচের দুই পাশের রেখা বরাবর ল্যান্ড করার জন্য। এই চিহ্ন বড় করে দেওয়া হয়। ফলে উঁচুতে আকাশ থেকে চালক সহজেই বিষয়টি দেখতে পান এবং সে অনুযায়ী ল্যান্ড করতে পারেন। ল্যান্ড করার সময় ‘H’ এর উপরেই হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার চেষ্টা করেন চালক।
‘H’ লেখা থাকায় হেলিকপ্টার কোন দিকে মুখ করে দাঁড়াবে এটিও নির্দেশ করা হয়। ফলে সময়ও কম লাগে।
অনেকের মনে হতে পারে, ‘H’ কেন, অন্য লেখাও তো দেওয়া যেতো। কিন্তু হেলিকপ্টার ‘H’ চিহ্ন অনুযায়ী দুই পায়াকে যতটা সহজে নামাতে পারে অন্য লেখায় ততটা হয়তো সম্ভব হতো না। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের দু’পাশে নিচে পায়ার অংশটা অনেকটা ‘H’ অক্ষরের মতোই।
হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং করার জন্য নির্দিষ্ট স্থানকে হেলিপ্যাড বলা হয়। হেলিপ্যাডের উপরে সাদা রঙে ‘H’ চিহ্ন লেখা থাকে। এটি পাইলটদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং হেলিকপ্টারকে নিরাপদভাবে ল্যান্ড করতে সাহায্য করে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post