সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৌদি আরবের ৭০ জন আলেমের বরাতে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ফোনে ‘হ্যালো’ বলা হারাম। কারণ, হেল অর্থ জাহান্নাম আর হ্যালো অর্থ জাহান্নামি। যদিও ইংরেজরা নিজে ফোন করে হাই এবং পিক করে ইয়েস বলে। এমন তথ্য ব্যবহার করে তৈরি একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে।
এ ছাড়া ফেসবুকেও একই দাবি বিভিন্ন সময়ে প্রচার হতে দেখা যায়। আদতে ফোনে ‘হ্যালো’ বলা হারাম করে সৌদি আরবের কোনো আলেম ফতোয়া দেননি। এ ছাড়া ‘হ্যালো’ শব্দটির অর্থও জাহান্নামি নয়। মূলত ‘হ্যালো’ শব্দটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮২৭ সালে। কিন্তু তখন এটি সম্বোধনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতো না। টেলিফোন আবিষ্কারের আগপর্যন্ত হ্যালো দিয়ে মূলত কারও মনোযোগ আকর্ষণ অথবা বিস্ময় প্রকাশ করা হতো।
টমাস আলভা এডিসন হ্যালো শব্দটির সাধারণ ব্যবহারের সূচনা করেন। তিনি টেলিফোনে উত্তর দেওয়ার সময় হ্যালো ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীদের আহ্বান জানান। অপরদিকে টেলিফোনের আবিষ্কারক আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল ‘হ্যালো’র বদলে ‘আহৈ’ শব্দ পছন্দ করেন। অভিধানগুলোতে হ্যালো ও হেল শব্দের উৎপত্তি ও অর্থগত আলোচনায় এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায়, হ্যালো অর্থ জাহান্নামি। বরং দেখা যায়, শব্দ দুটির মধ্যে উৎপত্তি ও অর্থগত পার্থক্য আছে।
ফোনে হ্যালো বলা হারাম করে সৌদি আরবের কোনো আলেমের ফতোয়া দেওয়া নিয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ইসলামওয়েব নামে ওয়েবসাইটে সৌদির ৭০ আলেম হ্যালো বলা হারাম করে ফতোয়া দেওয়ার দাবিটিকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post