পর্তুগালের রাজধানী লিসবন ইউরোপের উদ্ভাবনী শহর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ফ্রান্সের মার্সেলা শহরে ইউরোপিয়ান কমিশনের আয়োজনে গত ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে লিসবনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
লিসবনের মেয়র কার্লোস মোয়েদা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটি বিশ্বের অন্যতম বড় উদ্ভাবনী পুরস্কার, এই অর্জনে লিসবনের ইউনিকর্ন ফ্যাক্টরিকে ধন্যবাদ জানান।
মেয়র ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের পরিকল্পনার বর্তমান ২০২৩ সাল পর্যন্ত সম্পাদিত কর্মকাণ্ডগুলো অনুষ্ঠানে সকলের উদ্দেশে তুলে ধরেন। যেখানে ৫৪টিরও বেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, ১২টি ইউনিকর্ন (স্টার্টআপ) স্টক এক্সচেঞ্জে লিপিবদ্ধ হওয়া ছাড়াই ১০০ মিলিয়ন ইউরো কোম্পানিতে পৌঁছেছে।
তিনি মনে করেন, রাজধানী লিসবন সামাজিক উদ্ভাবনে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারে যাতে প্রযুক্তির সঙ্গে সামাজিক পরিবর্তন এবং মানুষের উন্নত জীবন যাপনের সহায়ক হতে পারে। তিনি রাজধানী লিসবনবাসীকে ধন্যবাদ জানান এই অর্জনে সহযোগিতা করার জন্য।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবন প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সম্মেলন ওয়েব সামিট আয়োজন করে আসছে প্রায় গত ২০১৬ সাল থেকে এই আয়োজনে বিভিন্নভাবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মেধা এবং যোগ্যতা অর্জন করে এমনকি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হয়।
প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ভৌগোলিক অবস্থান, আইন কানুন এবং অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা হিসেবে স্টার্টআপ এর জন্য পর্তুগালের লিসবন একটি অন্যতম আদর্শ শহর এখানে খুব সহজেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ধীরে ধীরে প্রতিনিয়তই পর্তুগালে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ছে। বলতে গেলে পুরো বিশ্বের নজর এখন পর্তুগালের দিকে।
গত ২০১৪ সাল থেকে ইউরোপীয় কমিশন প্রতিবছর ইউরোপের একটি শহরকে উদ্ভাবনী শহর হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার স্বীকৃতি স্বরূপ। এ বছরের সংস্করণে ইউক্রেনের শহর লাবিব এবং পোল্যান্ডের শহর ভারসোভিয়াকে চূড়ান্ত পর্বে হারিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন এই গৌরব অর্জন করে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post