মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির মালামাল, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঢাকার ধামরাই উপজেলার ইলা মিয়ার ছেলে সেলিম ওরফে সলিম খান, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাঙ্গা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে মালেক ও আলেক হোসেন, শাহাদৎ হোসেনের মেয়ে সুমা আক্তার ওরফে সুমি, ধামরাইয়ের চৌঠাইল গ্রামের খলিল মিয়া, সিংগাইরের চরদুর্গাপুর গ্রামের সামসুল ইসলাম, একই উপজেলার পূর্ব ভাকুম গ্রামের সুমন ফকির, কহিলাতলী গ্রামের মোক্তার হোসেন, চর দুর্গাপুর গ্রামের সজিব মিয়া এবং রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার আইয়ুব মোল্লা।
পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান জানান, সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা গ্রামের সৌদি প্রবাসী জুয়েল রানার বাড়িতে গত ১৯ নভেম্বর রাতে নয় থেকে ১০ জন ডাকাতি করতে যান। এ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবাসী জুয়েল রানার স্ত্রী মনি বেগম, ভাই সোহেল রানা, মা জাহানারা বেগম, ভাগ্নি আশা মনিকে গুরুতর জখমসহ ভয়-ভীতি দেখিয়ে ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের সোনা, রুপা, নগদ টাকা, সৌদি রিয়াল, মোবাইল ফোন এবং টিভি লুট করে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় প্রবাসী জুয়েল রানার স্ত্রী মনি বেগম ২১ নভেম্বর বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় অজ্ঞাত নয় থেকে ১০ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত ২৪ নভেম্বর এই ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ নভেম্বর আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য মালেক, মো. আলেক হোসেন, সুমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সুমার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বুধবার বিভিন্ন এলাকা থেকে খলিল মিয়া, সামসুল ইসলাম, সুমন ফকির, মোক্তার হোসেন, সজিব মিয়া ও আয়ুবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানে একটি এলইডি টিভি, ১৪ আনা স্বর্ণালংকার ও ২০ ভরি রৌপ্য অলংকার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুইটি রামদা, একটি শাবল, একটি কাটার, ধারালো দাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
সিংগাইর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১০ জন ডাকাতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সেলিম মিয়া, খলিল মিয়া, সামসুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন ও সজিব মিয়াদের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া পলাতক ডাকাতদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post