পাইলট সংকটে ভুগছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে বিমান সংস্থাটির আন্তর্জাতিক রুট ও উড়োজাহাজের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় পাইলট নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। সম্প্রতি জাল শিক্ষা সনদ ধরা পড়ায় দুই পাইলটকে বরখাস্ত করা হয়। এর পরপরই আরও দু’জন চাকরি ছেড়ে চলে যান। এতে সংকট আরও প্রকট হয়।
বিমানের এক পরিচালক সোমবার গণমাধ্যমকে জানান, দিন দিন বাড়ছে বিমানের আন্তর্জাতিক রুটের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উড়োজাহাজও। কিন্তু সেই তুলনায় পাইলটের সংখ্যা কম। অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ থাকলেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাইলট মিলছে না। বর্তমানে বিমানের পাইলটের প্রয়োজন ২০৬ জনের, আছেন ১৯৩ জন। প্রয়োজনের তুলনায় ১৩ জন পাইলট কম থাকায় ফ্লাইট পরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে। বিশ্বের ২১টি গন্তব্যে চলছে বিমানের ফ্লাইট। হজ মৌসুমে বিমানের যাত্রীদের পাশাপাশি চাপ বাড়ে ফ্লাইটের। এ সময় হিমশিম খান অন্য পাইলটরা।
এর আগে বিমানের সাদিয়া আহমেদ এবং মেহেদী নামে দুইজনের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষা সনদের মাধ্যমে বেবিচক থেকে পাইলট সার্টিফিকেট নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে বিমান থেকে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়। পরে আরও দুই দক্ষ পাইলট ইস্তফা দিয়ে চাকরি ছেড়ে দেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post