সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেল জুলাই মাসে ফ্লাইট চালুর শুরু থেকেই নিবন্ধনের জটিলতা এবং দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের ছাড়পত্র না পাওয়ায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ফেরত যান অনেক প্রবাসী। গত কয়েকদিনে ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন ও আবুধাবি বিমানবন্দর থেকে শতাধিক যাত্রী ফেরত পাঠানোর ঘটনায় সংকটে পড়ে বিমান সংস্থাগুলো। বাধ্য হয়ে আবুধাবি ফ্লাইট বাতিল করেছে বাংলাদেশ বিমান।
আরো পড়ুনঃ ওমানের মন্ত্রীসভায় ব্যাপক রদবদল
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলাচলকারী বিমান সংস্থাগুলোর জন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে দেশটির জেনারেল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি-জিসিএএ। এখন থেকে কোন উড়োজাহাজে কোভিড পজিটিভ যাত্রী পেলে ওই বিমান সংস্থাকে নিজ খরচে যাত্রীকে ফেরত আনতে হবে। দ্বিতীয়বার হলে ১৫ দিনের জন্য ফ্লাইট বাতিল এবং নতুন করে অবতরণের অনুমতি নিতে হবে। এই বিধিনিষেধ আরোপের কারণ জানতে চেয়ে জিসিএএকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন। এ অবস্থায় দেশটিতে ফ্লাইট চালানো নিরুৎসাহিত করতে ইউএই সিভিল এভিয়েশন নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলে মনে করে বিমান সংস্থাটি।
আরো পড়ুনঃ ওমানে অপহরণের অভিযোগে ৫ প্রবাসী গ্রেফতার
করোনা পরীক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ সার্টিফিকেটের যে বিষয়টি সেটি অনেক জটিল। ১শ’ জন যাত্রী পাঠালাম। সেখানে ৩০ জনের ভুল সার্টিফিকেট থাকতেই পারে। সায়েন্টিফিকেলি ৩০ শতাংশ ভুল গ্রহণযোগ্য। সেজন্য ৩০ জন যাত্রী যদি এখানে নেগেটিভ হয় আর ওখানে গিয়ে পজিটিভ হয়; এজন্য যদি এয়ারলাইন্সগুলোকে দায় নিতে হয় তাহলে তো তা কখনই টেকসই হবে না।
আরো পড়ুনঃ কর্ম ব্যস্ততা ফিরছে মাস্কাট এয়ারপোর্টে
চারদিন আগের কোভিড নেগেটিভ সনদ নেয়া যাত্রীর এরপরও করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন বেবিচক। এমন বিধিনিষেধ আরোপের কারণ জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবার ইউএই সিভিল এভিয়েশনকে চিঠি দিয়েছে বেবিচক চেয়ারম্যান। গত মঙ্গলবার জিসিএএ মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বিমান সংস্থাগুলোকে যাত্রীদের অগ্রিম তথ্য পাঠানো এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত যাত্রী পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া রয়েছে ৯৬ ঘণ্টা আগের কোভিড নেগেটিভ সনদ।
আরো পড়ুনঃ ওমান প্রবাসীদের জন্য সু খবর
জরিমানা ও করোনা পরীক্ষার ফলাফলের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, তারা চিঠি দিয়েছেন ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে। ৯৬ ঘণ্টার পর আবার যে কোন লোকেরই কোভিড আক্রান্ত হওযার আশঙ্কা থাকে। এ ব্যাপারে একটা এয়ারলাইন্সকে জরিমানা করা কতটা যৌক্তিক তা পরিষ্কারভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক ক্লিকে দেখুন ওমানের সব শীর্ষ সংবাদ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post