মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের আক্রমণের কারণে রোহিঙ্গাদের নতুন আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে ইন্দোনেশিয়া। বিমান হামলায় আতঙ্কিত হয়ে রোহিঙ্গারা ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ভিড়েছে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গাবাহী অন্তত তিনটি নৌযান।
থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী কারেন্নি রাজ্যের রাজধানী লোইকাওসহ আশপাশের অঞ্চলে বিমান হামলায় এলাকা ছাড়ছেন হাজারো মানুষ। এতে অনেকে গেছেন চীন সীমান্ত ঘেঁষা শান রাজ্যে। সামরিক জান্তার হামলায় গৃহহীনদের আশ্রয় ও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ওই অঞ্চলে তৎপর সশস্ত্র সংগঠন-দ্য পাও ন্যাশনাল লিবারেশন অর্গানাইজেশন।
১৩ নভেম্বর সেনা অবস্থানে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এই সংগঠনটি। ভারত সীমান্তবর্তী চিন রাজ্য এবং চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যেও এলাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা জারি রেখেছে সেনাবাহিনী। পাল্টাপাল্টি হামলায় কারেন রাজ্যে আটকা পড়া থাইল্যান্ডের অন্তত ১৬৬ নাগরিককে চীন হয়ে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, রবিবার (১৯ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার সর্ব পশ্চিমের আচেহ প্রদেশে মিয়ানমার থেকে যাওয়া তিনটি নৌযান ভিড়েছে। নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ৫৩৩ জন ছিলো এতে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, এনিয়ে একসপ্তাহে চতুর্থবার শরণার্থীবাহী নৌযান গেছে ইন্দোনেশিয়ায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post