শনিবার ৫৩তম জাতীয় দিবস উদযাপন করছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ ওমান। ফিলিস্তিন সংঘাতের কারণে প্রতিবছরের চেয়ে সরকারি উদ্যোগ কম থাকলেও বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশটির সর্বস্তরের বাসিন্দা জাতীয় দিবসের এই উদযাপনে যোগ দিয়েছে। ওমানের নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্যও দিনটি এক বিশেষ ও অন্যরকম আনন্দের উপলক্ষ। আর দেশটির প্রয়াত শাসক সুলতান কাবুসের গত ৫ দশকের অর্জন উদযাপন করছে ওমানিরা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো স্বাধীনতা লাভ করেনি ওমান। দেশটির স্বাধীনতা অর্জনের পিছনেও রয়েছে ভিন্ন এক ইতিহাস। পর্তুগিজদের থেকে মুক্ত হবার পর ১৯৭০ সাল থেকে সুদীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশকের ক্ষমতাকালে দেশের উত্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, পর্যটন ও অবকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন প্রয়াত শাসক সুলতান কাবুস বিন সাঈদ আল সাঈদ। ৭০ এর ২২ জুলাই সুলতান কাবুস আনুষ্ঠানিকভাবে তার পিতার কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সেই বর্ষ থেকে হিসেব ধরে তার জন্মদিন ১৮ নভেম্বরে ওমানের স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ছিলো নানা আয়োজন। সকাল নামতেই শিশু থেকে কিশোর সবার মুখেই ওমানের জাতীয় সঙ্গীত ‘নশিদ আল-সালাম আল-সুলতানি’ বাজতে থাকে। কেউ স্থানীয় লোকসঙ্গীতের তালে হেলেদুলে নেচেছেন, কেউ কেউ ব্যস্ত ছিলেন বাড়ি, গাড়ি আর পথঘাটকে জাতীয় প্রতীক আর রং দিয়ে সাজাতে। ছিলো উট দৌড় থেকে মেরিন উৎসব আর ঘোড়সওয়ারের আয়োজন। রঙ বেরঙ্গের ঝাড়বাতি আর জাতীয় পতাকা টানিয়ে বাড়ানো হয় পথঘাটের সৌন্দর্য। গুগলও তাদের ডুডলে ওমানের জাতীয় পতাকা চিত্রিত করে জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে।
এবারের জাতীয় দিবসে সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবে আদ দাখিলিয়্যার মিলিটারি প্যারেড গ্রাউন্ডের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছেন সুলতান হাইথাম বিন তারেক। জেলে পল্লী থেকে উন্নত দেশ গড়ার মহা নায়ক সুলতান কাবুসের মৃত্যুর পর থেকে বিন তারিকই দেশের হাল ধরেছেন। তার নেতৃত্বেই ২০৪০ সালের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গোটা ওমানকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post