তুরস্কের বিমান হামলায় ইরাকের উত্তরাঞ্চলে অন্তত ১৩ জন কুর্দি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, নিহত যোদ্ধারা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এর সদস্য। ইরাকের উত্তরের হাকুক অঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়। এই এলাকায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে তুরস্ক। অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করে আসছে সংগঠনটি। এর আগে গত পহেলা অক্টোবর ইরাকের উত্তরাঞ্চলে পিকেকের স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় তুরস্ক।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাজধানী আঙ্কারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে আত্মঘাতী হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে কুর্দিদের বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা চালাল তুরস্ক। রাজধানী আঙ্কারার ঐ বোমা হামলার দায় স্বীকার করে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)।
তুরস্কে বোমা হামলার পর পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা কখনই তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।’
ইরাকে পিকেকের স্থাপনায় হামলার পর তুরস্কের সেনাবাহিনী জানায়, কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এর বিভিন্ন টার্গেটে আক্রমণ চালিয়েছে তারা। তাতে কুর্দিদের গুহা, ডিপো, আশ্রয়স্থলসহ ২০টি জায়গায় বোমা ফেলা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post