দেশের খোলাবাজারে বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম কমেছে। রোববার (১২ নভেম্বর) মার্কিন মুদ্রাটি বিক্রি হয়েছে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সায়। গত বৃহস্পতিবার তা ছিল ১২৭ টাকা। দেশের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে তুলনামূলকভাবে চাহিদা নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে খোলাবাজারে ইউএস মুদ্রার দর হ্রাস পেয়েছে।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম ইসমাইল হক বলেন, চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সন্ধ্যায় ডলারের মূল্য ১২৩ টাকায় নেমে এসেছিল। প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার দাম আরও কমতে পারে।
মতিঝিলের খোলাবাজারের ডলার বিক্রেতা মোকাররম হোসেন বলেন, রোববার ১২৫ টাকায় ডলার কিনে ৫০ পয়সা বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে। তবে দর বেশি হওয়ায় চাহিদা কমেছে। যারা মজুতের উদ্দেশ্যে কেনেন, তারা কিনছেন না। ফলে মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলারের দর ছিল ১২১ থেকে ১২২ টাকা। পরে ২ থেকে ৩ দিনের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২৭ টাকায়। তবে আলোচ্য কার্যদিবসে প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রাটির দরপতন ঘটেছে।
এখন দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকে প্রতি ডলারের বিক্রয়মূল্য ১১৪ টাকা। আর ক্রয়মূল্য ১১৩ টাকা। কিন্তু ব্যাংকগুলো ডলার কিনতে পারছে না। ফলে বিক্রিও করতে পারছে না। খোলাবাজারে বেশি দরে ডলার বিক্রি হচ্ছে। ফলে সেদিকেই ঝুঁকছেন প্রবাসী ও বিদেশফেরত ব্যক্তিরা। এতে সেখানে সরবরাহ বেড়েছে।
বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে বিপুল সংখ্যক মানুষ চিকিৎসা, শিক্ষা ও পর্যটন উদ্দেশ্যে বিদেশে যান। এই গ্রাহকরা খোলাবাজার থেকে ডলার কেনেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post