বরগুনার পাথরঘাটার উপজেলার সুলতান ফকির (৮০) জমি রেজিস্ট্রি করতে ভূমি অফিসে গিয়ে জানতে পারেন ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। পরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর ছেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে।
সুলতান ফকির উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি গ্ণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে পাথরঘাটা ভূমি কর্মকর্তার অফিসে জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য কাগজপত্র তুলতে গিয়ে দেখেন তাঁর নাম-ঠিকানা সার্ভারে নেই। পরে অনেকের পরামর্শে তিনি নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁকে মৃত দেখিয়ে অনেক আগেই সার্ভার থেকে নাম মুছে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সুলতান ফকিরকে মৃত দেখানো হয়েছে। তাঁর ছেলে ইদ্রিস নির্বাচন অফিসের ১২ নম্বর ফরম পূরণ করে স্বাক্ষর দিয়ে আবেদন করা একটি ডকুমেন্ট আমাদের সার্ভারে সংরক্ষিত আছে। আমার ধারণা, সুলতান ফকিরের ছেলে বাবাকে মৃত দেখিয়ে সব সম্পত্তি লিখে নিয়ে গেছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, এ বিষয়ে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে সুলতান ফকিরের ছেলে ইদ্রিস ফকির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা তো আশ্চর্য হওয়ার মতো বিষয়। আব্বা তো জীবিত আছেন, তাঁকে কেন মৃত করার জন্য এ রকম করব? অনেক আগে আমার মা মারা গেছেন, তাও তো কিছুই করলাম না। এটা কীভাবে হয়েছে, তা আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু গ্ণমাধ্যমকে বলেন, সুলতান ফকির কাকচিড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি জীবিত রয়েছেন। তবে সার্ভারে কী হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানা নেই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post