কানাডার চরম অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যেও প্রতিদিনই বাড়ছে অভিবাসীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শীর্ষ ১৫ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।
কানাডার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ডের তথ্য মোতাবেক, চলতি বছর কানাডায় শরণার্থী সুরক্ষা চেয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৪২৩ জন আবেদন করেছেন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৫৩টি। আর ২০১৩ থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৬৪২ জন বাংলাদেশি শরণার্থী হিসেবে আবেদন করেছেন।
তবে যারা ভিজিট ভিসায় এসে শরণার্থী হিসেবে আবেদন করেছেন, তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। চাকরি, বাসস্থান, বেকার ভাতা, পি আর কার্ডের স্বপ্ন নিয়ে যারা এসেছেন, তারা এখন থাকা-খাওয়া-বাসস্থান-চিকিৎসা-চাকরির চরম সংকটে পড়ে ফুট ব্যাংক থেকে খয়রাতি খাবার নিচ্ছেন। এমনকি সরকারের দেওয়া সাতশ’ ডলারে বেকার ভাতায় বাসা ভাড়াও হচ্ছে না। তাই থাকার জন্য স্টেশন, ফুটপাত, বাসস্ট্যান্ড দখল করে বসবাস করছেন। এই দুঃসহ এবং উদ্বাস্তু জীবন যাপন করে সর্বস্ব খুইয়ে কেউ কেউ এরই মধ্যে দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
ইমিগ্রেশন পরামর্শকেরা মনে করেন, যারা কানাডা যেতে চান, তারা ভুয়া আদম ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পা না দিয়ে সঠিক নিয়ম-নীতি মোতাবেক ইমিগ্রেশন নিয়ে আসা উচিত। কারণ, মাল্টিপল ভিজিট ভিসা আর অভিবাসী ভিসা এক ক্যাটাগরি নয়।
এদিকে আগামী দুই বছরে ৯ লাখ ৮৫ হাজার লোক নেয়ার কথা জানিয়েছে কানাডা; এ বিষয়ে কানাডায় ইমিগ্র্যান্ট ইচ্ছুকদের সব নাগরিক শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে নেবে- এই ভাবনা পরিহার করা একান্ত জরুরি বলে মনে করেন তারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post