বঙ্গবন্ধু পরিষদ ওমানের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছাকে বহিষ্কারের ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই হুন্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগ এনে বহিষ্কারের নাটক সাজানো হয়। এই ঘটনার পরদিন সোমবার আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মুসার উপর আরোপিত বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে এমন একটি গুরুতর এবং স্পর্শকাতর অভিযোগ তদন্ত না করেই ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী আবু মুসা। তিনি বলেন, এই একদিনের ঘটনায় দেশে-প্রবাসে তার পরিবার ও পরিচিতজনের অপূরণীয় সম্মানহানী ঘটেছে-
( কলরেকর্ড )
– আবু মুসা, অর্থ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ওমান
সংগঠনের দুই শীর্ষ নেতার এমন সিদ্ধান্তককে অনেকেই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বলে আখ্যা দিচ্ছেন। বলছেন, অভিযোগ উঠতেই পারে, শত্রুতাবশত অনেকেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তারা এসব যাচাই বাছাই করে নিলে ভিক্টিমের এমন দুর্নাম হতোনা। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব শাহাবুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জসিম কল কেটে দেন।
অন্যদিকে জসিমের বিরুদ্ধে মনের মত কিছু না হলেই মিথ্যা গল্প সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওমানে বাংলাদেশ কমিউনিটির একাধিক ভুক্তভোগী এ নিয়ে প্রবাস টাইমকে তথ্য দিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, জসিমের পছন্দসই কিছু না হলেই বিভিন্ন কারণ দাড় করিয়ে ভিন্নমতের লোকদের ঘায়েল করেন। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবও রটান তিনি। তার বেপরোয়া এমন কাণ্ডে অতিষ্ট প্রবাসীদের অনেকেই তদন্তসাপেক্ষে এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
এর আগে রোববার সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্ব স্ব ফেজবুক প্রোফাইলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মোহাম্মদ মুছাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এ নিয়ে প্রবাস টাইম অনুসন্ধান শুরু করলে তারা নিজেদের ফেজবুক ওয়াল থেকে পোস্ট সরিয়ে নেন। পরে রাতে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে মুসার উপর থেকে বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়া হয়।
আপনার মন্তব্য: