যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলের সমর্থন আরব বিশ্বে ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠেছে। আরব বিশ্বে কর্মরত মার্কিন কূটনীতিকরা বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেছেন, একচেটিয়া এই সমর্থনের ফলে আরব জনগণের একটি প্রজন্ম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। এ-সংক্রান্ত একটি কূটনৈতিক তারবার্তা সিএনএনের হাতে এসেছে। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যমটি।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়েছে কূটনৈতিক তারবার্তায়। ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা আকস্মিক ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে গাজায় সর্বাত্মক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
বিশ্বস্ত ও সহনশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপের বিষয়টি উল্লেখ করে গত বুধবার ওমানের মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো ওই তারবার্তায় বলা হয়, ‘সার্বিক বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
তারবার্তায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে সমর্থনকে বস্তুগত (সামরিক সহায়তা) ও নৈতিক অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসরায়েলের এ কর্মকাণ্ডকে তাঁরা (ওই সব ব্যক্তি) সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ বলে মনে করেন।
মাসকটে মার্কিন দূতাবাসের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তার লেখা এ তারবার্তা হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকেও (এফবিআই) পাঠানো হয়েছে। যদিও এটি একটি আঞ্চলিক দূতাবাস থেকে পাঠানো মাত্র একটি তারাবার্তা, যেখানে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান মার্কিনবিরোধী মনোভাবের ওপর ব্যক্তিগত সতর্কবার্তার চিত্র উঠে এসেছে।
কায়রোতে মার্কিন দূতাবাস থেকে সিএনএনকে পাঠানো একটি তারবার্তায় মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের একটি মন্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। মন্তব্যটিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ফিলিস্তিনিদের প্রতি নিষ্ঠুরতা ও অবজ্ঞাকে পূর্ববর্তী সব মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়েও বেশি বর্বর বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post