ডলার সংকটের কারণে দিশেহারা হয়ে উঠেছে ব্যাংক গুলো। আগের দেনা শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো হঠাৎ করে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে অনেক ব্যাংককে বাধ্য হয়ে ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় ডলার কিনতে হচ্ছে।
এমন অবস্থায় ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের বিপরীতে কোনোভাবেই ১১৫ টাকার বেশি দর দেওয়া যাবে না।
বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করলে এবিবি ও বাফেদাকে দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দিয়ে সরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় তারা সভা করে ডলারের রেট নির্ধারণ করে আসছে।
সবশেষ ব্যাংকগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে কেনার ক্ষেত্রে ডলারের ঘোষিত দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে। এর সঙ্গে রেমিট্যান্সে ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে প্রণোদনা দিতে পারবে বলে জানানো হয়।
তবে বেশিরভাগ ব্যাংক এ দরে ডলার পাচ্ছে না। তাই এখন ১২২ টাকা থেকে ১২৪ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে অনেক ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবিবি ও বাফেদা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post