যুদ্ধ শেষ হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজা উপত্যকার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরাইল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার (৬ নভেম্বর) প্রচারিত এবিসি নিউজের এ সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালিয়ে হামাস যেসব নাগরিককে বন্দি করে নিয়ে গেছেন, তাদের মুক্তি না দিলে তিনি যুদ্ধবিরতি দেবেন না। তবে তিনি বলেন, ‘মানবিক বিরতি হতে পারে। তবে তা হবে কৌশলগত বিরতি। অর্থাৎ এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার এক ঘণ্টা যুদ্ধ চলবে। আমরা এর আগেও এটা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, আমরা মানবিক ত্রাণ প্রবেশ ও হামাসের হাতে বন্দি আমাদের নাগরিকদের মুক্তির পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে মানবিক বিরিতির কথা বিবেচনা করে দেখব।’চলতি বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইহুদিবাদী শাসকদের নির্বিচার আগ্রাসনে গাজায় মাত্র একমাসে ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সোমবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় গত একমাসে ইসরাইলের হামলায় মোট ১০ হাজার ২২ জন নিহত হন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ১০৪ শিশু ও ২ হাজার ৬৪১ নারী রয়েছে। এছাড়াও, ইসরাইলি হামলায় আহত হয়েছেন ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
গত এক মাসে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশ ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই আহ্বান উপেক্ষা করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। তিনি বারবার একই কথা বলে আসছেন, হামাস ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে তিনি যুদ্ধবিরতি দেবেন না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post