ওমানে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধের পর কবে নাগাদ তা আবার খুলে দেয়া হবে- এ নিয়ে চারিদিকে নানান গুঞ্জন। ওমান ও বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে নির্দিষ্ট করে এ বিষয়ে না জানানো হলেও দুই তরফ থেকেই কিছু আভাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ওমানের দূতাবাস থেকে ভিসা নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সেখানে ভিস স্থগিত করার বিষয়টিকে স্পষ্টভাবে ‘সাময়িক পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে তারা। বলা হয়, এটি ওমান সরকারের একটি সাময়িক পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুতই পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে পুনরায় ভিসা প্রদান কার্যক্রম শুরুর চেষ্টা করছে।
একইভাবে ভিসা প্রদান স্থগিতকে অস্থায়ী বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ। শিগগিরই এর সমাধান হবে জানিয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এটি খুব অস্থায়ী পদক্ষেপ হতে পারে। আশা করা হচ্ছে, আলোচনার মাধ্যমে খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা ওমানের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি। শিগগিরই ভিসা চালু করা হবে। এছাড়া ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যারা ভিসা পেয়েছেন তাদের ওমানে যেতে বাধা নেই। তিনি বলেন, ২০০৭-২০০৮ সালে ওমানে বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ৬০-৭০ হাজার। তা বেড়ে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৭ লাখে দাঁড়িয়েছে। যা ওমানের বিদেশি শ্রমিকের প্রায় অর্ধেক।
ওমান দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওমান কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত কোনভাবেই রাজনৈতিক গতি- প্রকৃতির নয়। এই ঘোষণা শ্রম বাজারের চাহিদা ও স্থিতিশীলতা সম্পর্কিত সমীক্ষা পর্যালোচনার অংশ। যা বর্তমান শ্রম আইন অনুসারে শ্রমিক ও নিয়োগকর্তা উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছে। বলা হয়, ভিসা স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রেও সমভাবে কার্যকর করা হয়েছে এবং এটি একটি সাময়িক পদক্ষেপ। কর্তৃপক্ষ দ্রুতই চলমান পর্যালোচনার পর ভিসা প্রদান কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post