রবিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাতিকাটা নামকস্থানে মোটরসাইকেল ও পাখিভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজাজ রাজা (২৪) নামে এক কোরিয়া প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।নিহত ইজাজ রাজা মেহেরপুর জেলার রাজনগর গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের ছেলে।
আহত ব্যক্তি হলেন-পাখিভ্যান চালক মুরসালিন হোসেন (৩৫)। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার খাঁপাড়া গ্রামের খেদের আলীর ছেলে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত ইজাজ রাজার খালু জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে ইজাজ রাজা তিন বছর আগে কোরিয়ায় পাড়ি জমায়। ছুটিতে ২৭ দিন আগে বাড়িতে আসেন। ইজাজ রাজা বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। তার জুথি নামের তার একটা ছোট বোন আছে। বাবা-মা ও একমাত্র ছোট বোন জুথির জন্য কেনাকাটা করতে সোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গায় যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে আসি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বেলা দেড়টার দিকে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল চুয়াডাঙ্গার শহরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হাতিকাটা জ্যোতি ফ্লাওয়ার মিলের নিকট পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাখিভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল চালক ও পাখিভ্যান চালক দুজনেরই সড়কের পাকা স্থানে আছড়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের খবর দিলে তারা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবায়দা জামান জয়া বলেন, রক্তাক্ত জখম অবস্থায় দুজনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাদের মধ্যে ইজাজ রাজা নামের এক যুবককে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। মুরসালিন নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হতে পারে।
চুয়াডাঙ্গায় ইজাজ রাজার মৃত্যুর ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইজাজ রাজার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post