বিদেশে কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা যেসব দেশ গন্তব্য হিসেবে বেছে নেন তার মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে ওমান। তবে ২০২২ সালের হিসেব অনুযায়ী সৌদি আরবের পর ওমানের অবস্থান দ্বিতীয়। সম্প্রতি দেশটি বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা দেয়া স্থগিত করেছে। বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় ওমান দূতাবাসের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে, শ্রমিক ও নিয়োগকর্তা উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করতে এটি শ্রম বাজার তদারকির একটি প্রয়াস, এবং এই পদক্ষেপ সাময়িক।
তবে এই আশ্বাসেও যেন স্বস্তি পাচ্ছেন না প্রবাসীরা। অনেকে বলছেন, আচমকা ওমানের এমন সিদ্ধান্ত গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই বাংলাদেশিদের মধ্যে বড় উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। মূলত ওমানের এমন সিদ্ধান্তের প্রাথমিক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের উপর। রিজার্ভ সংকটের মধ্যে বিদেশে একটি বড় শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাওয়া বড় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়া যে কারণে ওমানে ভিসা দেয়া বন্ধের কথা উঠে আসছে সেই একই কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ভিসা দেয়া বন্ধ হতে পারে বলে মনে করেন দুবাইতে গালফ নিউজের সাবেক সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুর রহমান।
এ বিষয়ে বায়রার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবুল বাশার মনে করেন, আরব দেশগুলোতে কর্মী যাতায়াতের ক্ষেত্রে ইউরোপ-আমেরিকার মতো শক্তভাবে যাচাই-বাছাই করা হয় না বলেই ঢালাওভাবে অদক্ষ কর্মী যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, আবুধাবি বন্ধ হয়ে গেলো, এখন ওমান, পাশাপাশি যদি কুয়েত বা কাতার বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশের লোক যাওয়ার মতো জায়গা একদমই কমে যাবে।
এদিকে দীর্ঘমেয়াদে এমন সমস্যা ঠেকাতে কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে জোর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি বৈধ কাগজপত্র এবং চাকরি নিশ্চিত করে প্রবাসে যাওয়া জরুরী বলেও মনে করছেন তারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post