ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স আয়ে ২.৫% প্রণোদনা দেওয়ার সীমা তুলে নিয়েছে এবিবি ও বাফেদা। এখন থেকে কোনো ব্যাংক চাইলে ইচ্ছামতো প্রণোদনা দিয়ে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারবে।
তবে, একটি ব্যাংক কত শতাংশ প্রণোদনা দেবে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বোর্ড থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। অর্থাৎ, ব্যাংকগুলোর বোর্ড অনুমোদন দিলে ব্যাংক প্রতিযোগিতামূলক দামে রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহ করতে পারবে।
অবশ্য এসব প্রণোদনার টাকা ব্যাংকের নিজেদের পরিশোধ করতে হবে, গ্রাহকদের কাছে থেকে এই বাড়তি দাম নেওয়া যাবে না।
এছাড়াও, রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয়ের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয় হার যথাক্রমে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা ও ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে ব্যাংকগুলো ডলার ১১০ টাকায় কিনে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করতে পারত।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেডা) মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, অন্তত দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।
এছাড়া সভায় আন্তঃব্যাংক ডলার বিক্রির রেট বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। আগে এটি ১১০ টাকা ৫০ পয়সা ছিল। এছাড়া ব্যাংকগুলোর প্রতিমাসের রেমিট্যান্স আয়ের ১০% আন্তঃব্যাংকে বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, কোনো ব্যাংক অক্টোবর মাসে ১০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেলে তাকে ১ মিলিয়ন ডলার ইন্টারব্যাংকে বিক্রি করতে হবে। তবে ব্যাংকগুলো এসব ডলার গ্রাহকদের কাছে সর্বোচ্চ ১১১ টাকায় বিক্রি করতে পারবে।
একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “ডলারের দাম নিয়ে এক ধরনের অস্থিরতা শুরু হয়েছে। সভায় বলা হচ্ছে বেশি দামে ডলার কিনে কম দামে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে হবে। এটি কীভাবে সম্ভব?”
সভায় ক্রেডিট কার্ড ডলার রেট এবং স্টুডেন্ট ব্যাংকিং ডলার রেটের ক্ষেত্রেও নিয়মে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। এখন থেকে ক্রেডিট কার্ড বা শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে ডলার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ক্যাশ ডলার বিক্রির দাম ফলো করতে হবে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৪ টাকা রেটে ক্যাশ ডলার বিক্রি করা হচ্ছে।
২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এক সভায় বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ানোর প্রচেষ্টায় ব্যাংকগুলোকে ডলার প্রতি ১১২ টাকা ৭৫ পয়সার ক্রয়হার ছাড়াও অতিরিক্ত ২ টাকা ৭৫ পয়সা বা ২.৫% প্রণোদনা দিয়ে রেমিট্যান্স নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
ব্যাংকাররা জানান, অনেক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ পাওয়ার আগেই ১১৫-১১৬ টাকায় রেমিট্যান্স ডলার অফার করছে।
যদিও এবিবি এবং বাফেদা আনুষ্ঠানিকভাবে রেমিট্যান্সের জন্য অতিরিক্ত ডলারের রেট অনুমোদন দিয়েছে, এ রেট ব্যাংকগুলোর প্রদত্ত ডলার রেটের তুলনায় কম।
তবে, ব্যাংকারদের প্রাথমিক উদ্বেগ ডলার বিক্রির রেট নিয়ে। এবিবি ও বাফেদা এখনও আমদানিকারকদের ডলার বিক্রির রেট নির্ধারণ করেনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post