আন্তর্জাতিক ভয়েস কল পরিচালনাকারী বৈধ ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ের (আইজিডব্লিউ) ব্যবসার আড়ালে চলছে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা। ফলে হাজার হাজার কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। এ রকম দশটি কোম্পানির অর্থপাচার খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এরই মধ্যে টেলেক্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে সংস্থাটি।
বিদেশ থেকে আসা ভয়েস কল গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। প্রতি কলের একটি সেবা মূল্য ধরা হয়। সে হিসেবে বছরজুড়ে শত শত কোটি মিনিটের বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসার কথা। কিন্তু হুন্ডিতে লেনদেন হওয়ায় এই বিদেশি আয়ের বেশিরভাগ অংশই দেশে আসছে না।
এমন ২৪১ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২২ অক্টোবর টেলেক্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। শুধু টেলেক্স নয়, হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে এই অপকর্ম করে তা জানালেন বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান ও দুদকের তদন্ত বিভাগের কমিশনার জহুরুল হক।
দুদক কমিশনার বলেন, বিদেশ থেকে আসা কল বাইপাস ওয়েতে আসে। বাইপাসের জন্য দেশের লিকের বিল তোলে বিদেশি লিক থেকে। বৈধ পয়সা পায় কি না পায় এটা বিটিআরসি মনিটর করে, তাদের মনিটরিং ব্যবস্থা আছে। এ বিষয়ে মামলাও আমাদের কাছে আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিটিআরসি ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কোনো কর্মকর্তা এসব কোম্পানির হুন্ডি ব্যবসায় সহায়তা করছেন কিনা তা-ও খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িতদের একটা বিশাল অংশ প্রভাবশালী হওয়ায় অনেক সময় এদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপসের কারণে ইনকামিং ভয়েস কল কমেছে। কিন্তু অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশে কল ফ্রি হওয়ায় থেমে নেই আইজিডব্লিউ ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি ব্যবসা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post