কাতারে গ্রেফতার করা ৮ প্রাক্তন ভারতীয় নেভি অফিসারকে কাতারের একটি আদালতের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। কাতারের আদালতে এই সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিজেদের বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ভারত সরকারের তরফ থেকে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে যে ভারতীয় নাগরিকদের মুক্তি সুনিশ্চিত করতে সমস্ত আইনি বিকল্পের খোঁজ করা হচ্ছে।
ভারত সরকার বৃহস্পতিবার বলেছে, আমরা জানতে পেরেছি যে কাতারের একটি আদালতে আল দাহরা কোম্পানিতে কাজ করতে থাকা ৮ ভারতীয় প্রাক্তন নৌসৈনিককে গ্রেফতার করেছেএবং সে বিষয়ে একটি সাজাও শোনানো ঘোষণা করা হয়েছে। আদালতে মৃত্যুর শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। মৃত্যুর শাস্তি ঘোষণায় আমরা অবাক এবং সিদ্ধান্তের ডিটেইল কপির জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা পরিবারের সদস্যদের এবং আইনি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ভারতীয় নাগরিকদের মুক্তি সুনিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত আইনগত বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করছি।
ভারত সরকার আরও বলেছেন যে, আমরা এই মামলা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমরা সমস্ত কাউন্সিলরকে আইনি সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া জারি রাখব। কাতারের আদালতে এই সিদ্ধান্ত আমরা সেখানকার অফিসারদের সামনে তুলে ধরব। বিষয়টি গভীর এবং অবশ্য গোপনীয়। তাই এই সময়ে এ বিষয়ে এর বেশি কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
গ্রেফতার ভারতীয়দের মধ্যে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত এক অফিসার রয়েছেন
কাতার পুলিশ দ্বারা গ্রেপ্তার করা ৮ প্রাক্তন নৌসৈনিকের মধ্যে একজন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে সম্মানিত কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি সামিল রয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে প্রবাসী ভারতীয় পুরস্কারের সম্মানিত হয়েছিলেন। কোম্পানির ওয়েবসাইটে উপস্থিত তথ্য অনুসারে ভারতীয় নৌসেনার একাধিক বড় জাহাজের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
মার্চে হয়েছিল প্রথম শুনানি
রিপোর্ট অনুযায়ী এ বছর মার্চের শেষে প্রথম হেয়ারিং হয়। গ্রেফতার প্রাক্তন নেভি অফিসারের মধ্যে একজনের বোন মিনু ভার্গব নিজের ভাইকে কাতার থেকে সুরক্ষিত ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকারের সাহায্য চেয়ে আবেদন করেন। মিনু ৮ জুন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ইনি প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক। দেশের গৌরব। “আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি যে এখন সময় এসে গিয়েছে যে সে সমস্ত গ্রেফতার প্রাক্তন নৌসেনাদের দ্রুত ভারতে ফিরিয়ে আনা হোক।”
কাতারের একটি নিজস্ব কোম্পানিতে কাজ করছিলেন তাঁরা
এই সমস্ত লোকেরা কাতারের একটি কোম্পানিতে কাজ করছিলেন। এই কোম্পানি কাতার ওশেনার ট্রেনিং এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী কোম্পানির নাম আল দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজি এবং কনসাল্টেন্সিজ সার্ভিসেস। কোম্পানি নিজেদের কাতার রক্ষা, সুরক্ষা এবং অন্যান্য সরকারি এজেন্সির স্থানীয় পার্টনার বলে দাবি করেছে। রয়্যাল ওমান বায়ুসেনার রিটায়ার্ড লিডার খামিস আল আজমের এই কোম্পানির সিইও।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post