ওমানে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব যেন মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে বাংলাদেশে এলো। ‘হামুন’ নাম নিয়ে শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এদিকে ওমান সাগরের উপকূল হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’ ইয়েমেনের উপকূলে উঠে এসেছে। যার প্রভাবে দেশটির আল মাহরার বিভিন্ন অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া ধোফার ও আল উস্তার বিভিন্ন অঞ্চলেও চলমান বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া আগামী কয়েকঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সালালার বেশকিছু এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে তা চালু করা হয়।
এদিকে ধোফারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ও ঝুকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এসময় আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা এসব প্রবাসী ও নাগরিকদের সার্বক্ষণিক তদারকি করেন দায়িত্বশীলরা।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিমি. দক্ষিণপশ্চিমে এলাকায় অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর প্রভাবে সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখে যেতে বলা হয়েছে। এ সময় বাতাসের গতি ৮০-১০০ কিলোমিটারের আশপাশে থাকতে পারে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার দুপুরের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে হামুন। দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে পটুয়াখালীর প্রায় ৭০৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩৫টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া চাল, শুকনা খাবার, প্যাকেট বিস্কুট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post