ওমানের বাসস্থান ও গাড়ির ধরন পরিবর্তনের মাধ্যমে জ্বালানি ব্যবহারের হার কমতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভরতা কমবে এবং কার্বন নিঃসরণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এদিকে আগামী সাত বছরের মধ্যে হাইড্রোজেন উৎপাদনে অন্যতম দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ওমান। এর অংশ হিসেবে হাইড্রোজেননির্ভর অর্থনীতির বিকাশে ৩ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি।
সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ প্লান্ট থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিচ্ছন্ন শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ওমান এগিয়ে। দেশটির জ্বালানি ও খনিজমন্ত্রী সালিম নাসের আল আউফি জানান, ওমান একটি জাতীয় পরিকল্পনার মাধ্যমে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য কাজ করছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ও পরিধি বৃদ্ধি এবং সবুজ প্রকল্প বাস্তবায়নে গৃহীত উদ্যোগের কারণে এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, কার্বন নিঃসরণ কমাতে জ্বালানি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করছে। এর মধ্যে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ রয়েছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে উল্লেখযোগ্য হারে কার্বন নিঃসরণ কমাবে এবং জ্বালানি খাতে পরিবর্তন আনবে।
আল আউফি জানান, শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো রয়েছে তার মধ্যে গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন প্রকল্প অন্যতম। এর সঙ্গে ২০৩০ সাল নাগাদ হাইড্রোজেন উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষাও সম্পৃক্ত। সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নে ওমান দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post