ভিসা নীতি পরিবর্তনের ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীরা শ্রমিক সংকটে পরতে পারে। সদ্য গড়ে উঠা অসংখ্য নতুন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগ দিতে না পারলে ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের।সাম্প্রতিক সময়ে দুবাইয়ে বাংলাদেশীদের জন্য রেসিডেন্স ভিসা ইস্যূর ক্ষেত্রে গ্রেজুয়েশন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করায় এই সংকট তৈরী হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০১২ সালে হঠাৎ করে বাংলাদেশীদের জন্য সাধারণ কর্মী ভিসা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই অঞ্চলে গত এক দশকে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসে। ২০২০ সালের শেষে এসে পুনরায় আমিরাত সরকার বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা চালু করলে প্রায় ২ লক্ষের অধিক বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান হয় দেশটিতে। কিন্তু হঠাৎ ২০২২ সালে শুধুমাত্র দুবাই ছাড়া আমিরাতের অন্যান্য প্রদেশগুলোতে বাংলাদেশী ভিসা বন্ধ হয়ে যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবরের শুরু থেকে বাংলাদেশীদের রেসিডেন্স ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির প্রশাসন। ফলে বিপাকে পড়েছে দুবাইতে বিনিয়োগকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
প্রবাসীদের কেউ কেউ ধারণা করেছেন, বাংলাদেশীদের মধ্যে আনস্কিল লেবারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ও হাই ক্যাটাগরি ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ম্যানপাওয়ার ব্যাবসায়ীর ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদানের মত নানা ধরনের অসঙ্গতি ধরা পড়ায় দেশটির প্রশাসন বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা নীতিতে কঠোর হচ্ছে। এ নীতি অব্যাহত থাকলে বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগে বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post