একদিনেই ১৩ টি সোনার ডিম পেরেছেন দুবাই প্রবাসী সুমন। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? । এটাই সত্যি ঘটনা। ডিমতো পেরেছেনই, তাও আবার সবার সামনে। সোনার খনি হিসেবে পরিচিত হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিানবন্দরে সোনার ডিমভর্তি পেট নিয়ে ধরা পড়েন সুমন। তিনি শারজাহ থেকে ঢাকায় আসেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চোরাচালান প্রতিরোধে পরিচালিত এয়ারপোর্ট এপিবিএন এবং এনএসআইয়ের যৌথ অভিযানে ৩ কেজি ২৩১ গ্রাম স্বর্ণ সহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়ুপথে স্বর্ণ পরিবহন করছিলেন। শনিবার বিকেল ৫ টায় আগমনী কনকোর্স হলের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত যাত্রী মো: সুমন হোসেন মুন্সিগঞ্জ সদরের ইসমাইল হাওলাদারের সন্তান।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন তার কাছে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করেন। তবে দেহের কোন অংশে স্বর্ণ লুকানো আছে তা নিশ্চিত করতে এক্সরে পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।
বিশেষ কায়দায় ওই যাত্রী পায়ুপথ দিয়ে যে ১৩ টি ডিম্বাকৃতির পেস্ট গোল্ডের প্যাকেট বের বের করেন, ওজন করা হলে প্রতিটি প্যাকেটে ২৩২ গ্রাম করে মোট ৩ কেজি ১৬ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। এছাড়া পোশাকের পকেট থেকে আরো ১ টি গোল্ডবার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার সহ মোট ৩ কেজি ২৩১ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এসব স্বর্ণের আমদানী এবং শুল্ক পরিশোধের রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হয়ে স্বর্ণ পাচারকারী চক্রের সাথে যোগসাজশের কথা স্বীকার করেন সুমন।
বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানান, শারজাহ প্রবাসী মিজান এবং আনোয়ার অর্থের বিনিময়ে তাকে এই স্বর্ণ পাচারের জন্য প্রস্তাব করেন। একাজে সফল হলে তার ৭০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। তিনি জানান, ব্যাগেজ সুবিধা ব্যবহার করে পন্য আমদানীর জন্য তিনি নিয়মিত বিদেশে যাওয়া আসা করেন। সবশেষ তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post