আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের থাবা আরও একবার। শনিবারের ভূমিকম্পের চারদিন পর বুধবার ভোরের দিকে হেরাত প্রদেশে আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এবারও ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হেরাত শহরের উত্তরে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত শনিবার একই অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেই ভূমিকম্পে হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। হেরাত শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের গ্রামীণ জনপদ জিন্দানে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনছিল।
গতকালের ভূমিকম্পে এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে শনিবারের ভূমিকম্পে অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখনও খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তারা কম্বল, খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
ইউরেশিয়ান এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় আফগানিস্তানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
আফগানিস্তানের দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়েক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, শনিবারের ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি আহতের সংখ্যা সংশোধন করে ২ হাজার জনের বেশি বলেছেন। এর আগে, তিনি আহতের সংখ্যা ৯ হাজার ২৪০ জন বলেছিলেন।
সায়েক আরও জানান, প্রায় ১ হাজার ৩২০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ১০টি উদ্ধারকারী দল ইরানের সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে।
পাহাড়ে ঘেরা আফগানিস্তানে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী হিন্দুকুশ অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। দেশটিতে যুদ্ধের কারণে অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ায় ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযান চালানো অনেক কঠিন। এই কারণে দেশটিতে ভূমিকম্পের পর মৃত্যু সংখ্যা বেশি হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post