প্রবাসীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও নিম্নগামী হচ্ছে প্রবাসী আয়। ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি বাড়তে থাকলেও এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রবাসী আয় না বেড়ে বরং কমছে। এজন্য সরকারি দামের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি হওয়াকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ১৩৪ কোটি ডলার, যা গত প্রায় সাড়ে তিন বছরে সর্বনিম্ন। অথচ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত আগস্টে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে গেছেন, যা একক মাসে সর্বোচ্চ।
২০২২ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১১ লাখ ৩৫ হাজার শ্রমিক বিদেশে গিয়েছিলেন, কিন্তু সে মোতাবেক আগের বছরের চেয়ে প্রবাসী আয় কমেছে।
হুন্ডির মাধ্যমে ডলার প্রতি বেশি দর পাওয়ায় মানুষ অনানুষ্ঠানিক উপায়ে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর দিকে ঝুঁকছে বলে মনে করেন ব্যাংকিং খাতের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সরকার ১১০ টাকায় ডলার বিক্রির দর বেঁধে দিলেও হুন্ডিতে ১১৮ টাকা বা আরও বেশি দরে বিক্রি করছে বলে শোনা যায়। এটি বৈধ উপায়ে প্রবাসী আয় না আসার অন্যতম কারণ।
বাংলাদেশে হুন্ডির মাধ্যমে কী পরিমাণ লেনদেন হয়, তার কোনো তথ্য নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। তবে প্রবাসী শ্রমিকদের একটি বড় অংশই হুন্ডির সঙ্গে জড়িত বলে কথিত আছে। একাধিক প্রবাসী শ্রমিক হুন্ডিতে লেনদেন করেন বলে স্বীকারও করেছেন।
তারা বলছেন, ব্যাংকের চেয়ে কিছুটা বাড়তি টাকা পাওয়া যায় বলে তারা হুন্ডিতে টাকা পাঠান। এদিকে সবশেষ সেপ্টেম্বরের নিম্নগতির রেমিট্যান্সের থাবায় রিজার্ভ সংকট আরও বেড়েছে। এরমধ্যে হুন্ডি ব্যবসা নিশ্চিতভাবে চলমান ডলার সংকটকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post