কয়েকদিন আগে ভূমধ্যসাগরে বিপদে পড়া অভিবাসীদের সহায়তা করা সংস্থাগুলোকে জার্মানির অর্থায়ন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ইতালি। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, বার্লিনের এমন পদক্ষেপ রোমের জন্য ‘ক্ষতিকর’। সেই আপত্তি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অসন্তোষ আমলে নিয়েছে জার্মানি।
শেষমেশ অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল ঠেকাতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে জার্মানি। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে বার্লিন সীমান্তে আরও কড়াকড়ি আরোপের কথা জানিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ।
শনিবার ডয়চেল্যান্ডে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, এই মুহূর্তে জার্মানিতে আসতে চাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। এসব শরণার্থী প্রবেশ মোকাবিলায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে সরকার।
এরই মধ্যে পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, নভেম্বরে দেশটির রাজ্য প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে চ্যান্সেলরের। তখন শরণার্থীদের আশ্রয়সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে রাজ্যগুলোকে অর্থায়নের প্রস্তাব দেবেন বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি শরণার্থীদের কাছে যাতে সহজে জার্মানি আসার ভিসা বিক্রি করা না হয়, সে বিষয়েও পোল্যান্ডের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছেন শলৎজ।
শুধুমাত্র চলতি বছরেই জার্মানিতে শরণার্থীদের আশ্রয়ের আবেদন প্রায় বেড়েছে ৮০ শতাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হচ্ছে শলৎজ প্রশাসন। ২০২৩ সালে জার্মানিতে প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার জন আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
আপনার মন্তব্য: