বিশেষ চুক্তির আওতায় অনিয়মিত বাংলাদেশিদের নিয়মিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে গ্রিস। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া সেই আবেদন প্রক্রিয়ার সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ অক্টোবর। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
এই প্রক্রিয়ায় প্রথম ধাপে অনিয়মিত প্রবাসীদের বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হয়। আর দ্বিতীয় ধাপে গ্রিক সরকারের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করতে হয়।
দূতাবাস বলছে, চুক্তির আওতায় এ পর্যন্ত দূতাবাসের মধ্যে প্রাথমিক নিবন্ধিত হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি প্রবাসী। এসব প্রবাসীর মধ্যে অন্তত ছয় হাজার বাংলাদেশি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ শেষে গ্রিক কর্তৃপক্ষ থেকে বৈধতার সত্যায়ন পেয়ে রেসিডেন্স পারমিট বা স্মার্ট কার্ডের অপেক্ষায় আছেন।
দূতাবাস জানায়, চলমান প্রক্রিয়া ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারিত থাকলেও এই সময়সীমা বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করার জন্য গ্রিক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।
গ্রিসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিয়মিত অভিবাসনের দরজা খুলে দিতে ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি সমঝোতা স্মারকে সই করে ঢাকা ও এথেন্স। সাবেক গ্রিক অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী নোতিস মিতারাচি ঢাকা সফরে এসে ওই সমঝোতা করেছিলেন। শর্ত হিসেবে আবেদনকারীকে ন্যূনতম দুই বছর মেয়াদি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির আগে থেকে গ্রিসে বসবাসের প্রমাণ এবং নিয়মিত হলে চাকরির নিশ্চয়তার প্রমাণ জমা দিতে হচ্ছিল।
এই প্রক্রিয়ায় প্রথম ধাপে অনিয়মিত অভিবাসীদের বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হয়। আর দ্বিতীয় ধাপে গ্রিক সরকারের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করতে হয়। গত বছরে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই মন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি বৈধ অভিবাসনের পক্ষে।
এ ছাড়া বাংলাদেশের সাথে এই চুক্তির মাধ্যমে তারা অনিয়মিত অভিবাসনকে মোকাবিলা করতে চান। কারণ গ্রিস অনিয়মিত অভিবাসন মেনে নেবে না।
আপনার মন্তব্য: