দেশে এসে আটকাপড়া প্রবাসীদের পুনরায় ওমান ফেরার ব্যাপারে নিবন্ধন শুরু করেছে দেশটির বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি। চলমান কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন সময়ে নিজ দেশ থেকে ওমানে পুনরায় যেতে চান তাদের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন শুরু করেছেন তারা। নিবন্ধনের উপর নির্ভরকরে ওমানে ফ্লাইটের চাহিদার ভিত্তিতে যাত্রীদের তালিকা অনুমোদনের জন্য ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে, এরপরে যারা ওমান যেতে চান তারা স্বতন্ত্রভাবে বা ট্রাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে টিকিট বুক করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ওমানের শীর্ষ ট্রাভেল এজেন্ট মালিকরা।
বাংলাদেশ থেকে পুনরায় ওমান যাওয়ার ব্যাপারে নিম্নে একটি ধারণা দেওয়া হইলো, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ওমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভর করবে। যারা ওমান থেকে দেশে এসে আটকাপড়েছেন তাদের ভিসার মেয়াদ থাকতে হবে। যদি মেয়াদ না থাকে, তাহলে অনলাইনে ভিসা নবায়ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ ওমানি স্পন্সরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রথম ধাপ: রেজিস্ট্রেশনঃ
ওমানে যেতে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুনঃ
রেজিস্ট্রেশন লিংকে ক্লিক করে আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন।
১, আপনার ইমেইল নাম্বার দিন।
২, আপনার সিউর নাম দিন।
৩, আপনার পাসপোর্টে দেওয়া নাম দিন।
৪, আপনি ছেলে না মেয়ে তা সিলেক্ট করুন।
৫, আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিন।
৬, পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দিন।
৭, ওমানের রেসিডেন্স কার্ড (পতাকা) নাম্বার দিন।
৮, ভিসা নাম্বার দিন।
৯, ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দিন।
১০, আপনার জন্ম তারিখ দিন।
১১, আপনার কোম্পানি/ স্পন্সরের নাম দিন।
১২, দেশের নাম দিন।
১৩, কোন এয়ারপোর্ট থেকে আপনি ওমান যেতে চান তার নাম দিন, যেমন কেউ যদি চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে মাস্কাট যেতে চায়, তাহলে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টের নাম দিবে।
১৪, ওমানের মোবাইল নাম্বার দিন।
১৫, আপনার দেশের মোবাইল নাম্বার দিন।
১৬, ওমানে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করুন।
সর্বশেষ আপনি সকল তথ্য সঠিক দিয়ে থাকলে ক্লিক করে ফরম সাবমিট করে দিন।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরীক্ষায় প্রবাসীদের জন্য বাড়তি ফি কেনো?
এবার আপনার প্রাথমিক কাজ শেষ। দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি ফিরতি মেইলের অপেক্ষা করতে হবে। মেইলটি বেশ সময় সাপেক্ষ হতে পারে। সুতরাং ফিরতি মেইলের জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে ১৫ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত। মেইল পাওয়ার পর আপনার দ্বিতীয় ধাপের কাজ করতে হবে মেইলে দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে। তবে আপনাকে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করতে হবে। আর সেজন্য আপনি নিম্নে তালিকাভুক্ত ১৬টি প্রতিষ্ঠানের যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠান থেকে করোনা পরীক্ষা করাতে পারেন।
যেখান থেকে করোনা পরীক্ষা করাবেন:
সরকারি ১৬ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত হলো যেভাবে : করোনার ভুয়া নেগেটিভ সনদ বাণিজ্য রোধে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এয়ারলাইন্সগুলোর কর্তৃপক্ষ নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারের কাছে দেশের ২৯টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব করে। বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ওই তালিকা স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠায়। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণিত
এগুলো হলো-
বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ,
চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেস,
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ,
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ,
ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার,
ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ)
ও ন্যাশনাল ইনস্টটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম),
নারায়ণগঞ্জ তিনশ’ শয্যা হাসপাতাল,
খুলনা মেডিকেল কলেজ,
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ,
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ,
বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ,
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ,
দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ,
রংপুর মেডিকেল কলেজ
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ।
বিদেশগামী যাত্রীদের নির্ধারিত এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।
আরও দেখুনঃ দেশে এসে আটকেপড়া প্রবাসীরা পুনরায় যেভাবে ওমান যাবেন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post