বহুল আলোচিত বন্দিবিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে অবশেষে ইরানে বন্দী যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে তেহরান। আর এ প্রক্রিয়ায় শর্তের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে জব্দ করা ইরানের ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার কাতারের ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম সিএনএন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এছাড়া দেশে ফেরার জন্য বর্তমানে ওই ৫ মার্কিন নাগরিক একটি ফ্লাইটে আছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
সমঝোতা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান দুই দেশের ৫ জন করে ১০ বন্দীকে মুক্তি দেবে। কাতারের রাজধানী দোহায় এই বন্দিবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত, বন্দিবিনিময়ের এই সমঝোতায় মধ্যস্থতা করছে কাতার।
এর আগে অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি সাংবাদিকদের জানান, ‘সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিন শেষের আগেই বন্দিবিনিময়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজই এটা হতে যাচ্ছে। পাঁচ বন্দী ইরানি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।’ অন্যদিকে ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে, বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পাওয়া পাঁচ ইরানির মধ্যে দুজন দোহায় পৌঁছেছেন। ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন ইরানে ফিরছেন না। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এছাড়া জব্দ করা ইরানের ৬০০ কোটি ডলার কাতারের ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ থাকা এসব অর্থ প্রথমে সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয় বলে জানিয়েছে সিএনএন।
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাতারের অ্যাকাউন্টে ওই তহবিল স্থানান্তর করা হলেও তা শুধু জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে ব্যবহার করতে পারবে ইরান। এজন্য প্রতিটি লেনদেন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ পর্যবেক্ষণ করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চুক্তিটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, তা ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যকার কয়েক বছর ধরে চলে আসা পরোক্ষ আলোচনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি বয়ে আনবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post