টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে খাটের নিচ থেকে এক প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রবাসী স্বামী মোস্তাক পলাতক রয়েছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভূঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দির গণেশ মোড় এলাকায় জহুরুল ইসলামের বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম মুনিয়া ইসলাম (৩২)। তিনি গোপালপুর উপজেলার নলীন এলাকার নুরুল ইসলাম খানের মেয়ে এবং একই উপজেলার বাগুয়াটা গ্রামের আজমত আলীর ছেলে প্রবাসী মোস্তাকের স্ত্রী। অভিযুক্ত মোস্তাক তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তানকে নিয়ে ঘাটান্দির গণেশ মোড় এলাকায় জহুরুল ইসলামের পাঁচতলা বাসার তৃতীয়তলায় ভাড়া থাকতেন। গত ১৫ বছর আগে মুনিয়া ও মোস্তাকের বিয়ে হয়।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। দুই ছেলের একজন তার খালার বাসায় ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে এক রুমে ছেলেকে ঘুমিয়ে রেখে অন্য রুমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর লাশ খাটের নিচে রেখে পরদিন ভোরে বাসার মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে যায় স্বামী মোস্তাক। ছেলে ঘুম থেকে উঠে ডাকাডাকি করলেও আশপাশের কোনো ভাড়াটিয়া এগিয়ে যায়নি। পরে বাসার কেয়ারটেকার দরজা খুলে দেয়। মুনিয়া ইসলামের খোঁজ না পেয়ে বাসার বিভিন্ন রুমে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে স্বজনরা। একপর্যায়ে ছোট ছেলে খাটের নিচে দেখতে বলে। এরপর খাটের পাটাতন খুলে মুনিয়ার লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত মুনিয়া ইসলামের ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে। পরে বড় বোন নাসরিন কয়েকদিন আগে দুই জনকে বুঝিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছিল। এরপর আর কিছু জানি না। সন্ধ্যায় খবর পেলাম বোনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বাসার খাটের নিচে রেখে মোস্তাক পালিয়ে গেছে। বর্তমানে মোস্তাক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post