একী কাণ্ড ঘটল স্কুলে। স্কুলে ক্লাস চলাকালীন দুই শিক্ষকের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি মারপিট। দুই শিক্ষকের এমন বিরল দৃশ্য দেখে হতবাক ছাত্র-ছাত্রী থেকে অভিভাকরা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির শালডাবরা জুনিয়র হাই স্কুলে। এখানেই থেমে থাকেননি তারা। এই ঘটনার পর একে অপরের বিরুদ্ধে তারা বাঘমুন্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তারা দু-জনেই নিজেদের টিচার ইনচার্জ বলে দাবি করেছেন। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে , এদিন স্কুল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর শিক্ষক রাজেশ মণ্ডলকে শিক্ষক গোপাল মহাপাত্র হাজিরা খাতা চাইতে যান। অভিযোগ , সেই হাজিরা খাতা নিয়েই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপরেই তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়।
এ বিষয়ে শিক্ষক রাজেশ মণ্ডলের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তাকে বিভিন্ন কটুক্তি করে চলেছেন সহ শিক্ষক গোপাল মহাপাত্র। অবৈধভাবে স্কুলের রেজিস্ট্রার খাতায় স্বাক্ষর করেন তিনি। তাকে বাধা দিতে গেলেই তৈরি হয় ঝামেলা। এই দিনও ঝামেলার সুত্রপাত রেজিস্টার খাতা নিয়েই। গোপাল মহাপাত্র তাকে ঘুষি মারেন ও জাতিগত কটুক্তি করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, গোপাল মহাপাত্র জোর পূর্বক নিজেকে টিচার ইনচার্জ বলে দাবি করেন। এই ঘটনার পর থেকে একপ্রকার আতঙ্কে ভুগছেন তিনি।
অপরদিকে তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক গোপাল মহাপাত্র। তিনি বলেছেন, যে ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ এক তরফা। তিনি ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি করেছেন। এই ঘটনায় গোটা স্কুল চত্তরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। সেইদিন ঘটনার খবর জানাজানি হতেই সুইসা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন প্রশ্ন উঠছে যাদের কাঁধে সমাজ গড়ার দায়িত্ব, তারাই যদিও এইভাবে হাতাহাতি করে, তাহলে শিক্ষার্থীদের ভাবিষৎ কি হবে? কিভাবে শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশ ঘটবে, প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় মানুষেরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post